পররাষ্ট্রনীতি
শব্দটি দুইটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত।এখানে পররাষ্ট্রনীতি বলতে বুঝায় দুই দেশের মধ্য
নির্ধারিত নীতি নির্ধারণ করা। পররাষ্টে নীতির কয়েকটি সাধারণ ধারনা নিম্নে উল্লেখ
করা হলঃ
Merriam Webster dictionary তে বলা হয়েছে ,” the policy of a sovereign state in its interaction
with other sovereign states”
Prince
Otto von Bismarck বলেছেন,” the extension of domestic policy is foreign
policy.
বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশ
একটি সমস্যাজর্জরিত রাষ্ট্র। এখানে নানা রকমের সমস্যা আছে।আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং
আভ্যন্তরীন উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। সংবিধানের
২৫ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির কথা বলা হয়েছে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপঃ
১.দেশের
স্বাধীনতা,অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্ব
রক্ষাঃ এটি হল বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য ছিল। বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব
রক্ষায় সর্বদা তৎপর।এরজন্য বাংলাদেশ সর্বদা বেরুবাড়ী সমস্যা, তিন বিঘা কোরিডোর সমস্যা, ছিটমহল সমস্যা ইত্যাদি বিষয়াবলী নিয়ে পার্শ্ববর্তী বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতের সাথে
আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশ সকলের সাথে বন্ধুত্বমূলক আচরণ করে কিন্তু কারও
প্রভূত্ব করে না। ২. মৈত্রীমূলক আচরণ,শত্রুতা
নয়ঃ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূল কথা
হল এই যে, “সকলের সাথে বন্ধুত্ব,কারো সাথে শত্রুতা নয়।” (Friendship to all and malice towards none) এই নীতির উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ বিশ্বের সকল রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্ব,সহযোগিতা ও সম্প্রীতির মনোভাব গড়ে তুলছে এবং ভবিষৎ এ
তুলবে। ১৯৭২ সালের শেখা মুজিবুর রহমান দ্ব্যর্থহীন কন্ঠের ঘোষণা করেন, “পৃথিবীর সকল জাতির সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাই আমাদের
পররাষ্ট্রনীতির মূল কথা।আমরা বাংলাদেশকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ডে পরিণত করতে চাই ”। এই নীতির আলোকে বাংলাদেশ সকল দেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলে।
৩.
শান্তি ,সহযোগিতার ও নিরপেক্ষতার নীতি
অবলম্বণঃ বাংলাদেশে শুধুমাত্র নিজেই
সুখে থাকতে চায় না বরং, তারা সর্বদা অন্যান্য
রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের সাথে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে
চায়।যেসকল দেশসমূহ বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চায় তাদের বিরুদ্বে বাংলাদেশ বরাবর
সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ কোন পক্ষপাতমূলক সংস্থা যেমন
সিয়াটো,সেন্টো,ন্যাটো কিংবা ওয়ারশ প্রভৃতি জোটের সাথে বাংলাদেশের কোন সম্পর্ক নেই।তবে
আন্তর্জাতিক প্রশ্নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সর্বদা স্বাধীন ও জোট নিরপেক্ষ
পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বণ করে আসছে।১৯৭২ সালের মে মাসে আমেরিকান ব্রডকাস্টিং এ
বলেছিলেন, “আমি কোন ব্লকে নেও,প্রাচ্যেও নেই,পাশ্চাত্যেও নেই”। এছাড়া ১৯৭৯ সালে জিয়ায়ুর রহমান
হাভানায় জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে বলেছিলেন, “বাংলাদেশ সর্বদা স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতিতে
বিশ্বাসী।বৈদেশিক সম্পর্ক নির্ধারণে আমারা বিভিন্ন জোট থেকে সমান দুরুত্ব বজায়
রাখি”।
৪.
বিশ্বের নীপিড়ীত মানুষের প্রতি সমর্থন(আদর্শভিত্তিক)ঃ বাংলাদেশ সর্বদা অত্যাচারিত,নীপিড়ীত,শোষিত
মানুষের পক্ষে কথা বলে। যেসকল দেশে উপনেশীবাদ,সম্রাজ্যবাদ,সামন্তবাদ,বর্ণ-বৈষম্য চলছে সেই সকল দেশের বিরুদ্বে বাংলাদেশ সবসময় সোচ্চার।বাংলাদেশ
ইরাকের কুয়েত দখল, ইসরাইলের ফিলিস্তীনের উপর হামলা, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নীতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরাক হামলা ইত্যাদি বিষয়ে
বিরোধিতা করে আসছে সবসময়।
৫.
মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক দৃঢ়করণঃ ধর্ম হল অন্য নির্ধারক যা বাংলাদেশ ফরেন
পলিসি উপর এর প্রভাব স্থাপিত খুব কার্যকরী.।কারণ এই দেশের প্রায় ৯০ ভাগ লোক
মুসলিম। বাংলাদেশ শুরুতে ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এখনও এটা কিন্তু জিয়া
উর রহমান রাজত্বের সময়ে অবস্থা মুসলিম জাতি থেকে সংবিধানের কারণ হবে মুসলিম
বিশ্বের দ্বারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হবে সংশোধনী দ্বারা পরিবর্তিত হয়. অন্য
সংশোধনী দ্বারা এটি লুপ্ত ছিল. মানুষ তাই ধর্মীয় পরিচয় বাংলাদেশ বিদেশী নীতির
তৈয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা.সংবিধানে ২৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদে এ কথা বর্ণনা করা
হয়েছে যে, “রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি
সংরক্ষণ ও জোরদার করতে সচেষ্ট হয়”। তাই দেখা যায় যে, মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্কোন্নয়ন বাংলাদেশের
সংবিধানের অংশ।
৭.
আলোচনা এবং বিরোধ পূর্ণ বিষয়ে সমাধানঃ বাংলাদেশ যেকোন বিষয়ের আলোচনার মাধ্যমে সকল
বিষয়ের সমধান করতে চায়। কোন জায়গায় বিরোধ দেখা দিলে বাংলাদেশ তা লাঘবের জন্য
আলোচনার দারকে সর্বদা উন্মুক্ত রাখে।
৮.
উন্নয়নমুখীঃ একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অতি একটি দেশের বৈদেশিক নীতি প্রভাবিত.
যদি একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সুস্থিতই চেয়ে একটি দেশের বৈদেশিক নীতি হয়ে
শক্তিশালি কারণ নীতি বাস্তবায়নের একটি বড় পরিমাণ আর্থিক পৃষ্ঠপোষক উপর
নির্ভরশীল. বাংলাদেশ অর্থনৈতিক খুব খারাপ অবস্থায়-প্রতি বাংলাদেশের পিছু আয় হল $ ৭৫0.বাংলাদেশ তাই জাপান,যুক্তরাষ্ট্র,চীন,বিশ্ব ব্যাংক, আই.এম.এফ ইত্যাদি অর্থনৈতিক পরাশক্তির সাথে সম্পর্ক
উন্নয়নের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা-প্রচেষ্টা করে।
৯.
সম-মর্যাদার নীতিঃ বাংলাদেশ যেমন নিজের দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় সদা তৎপর তদ্রুপ
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও
স্বকীয়তা রক্ষায় সদা তৎপর থাকে।যদি কোন দেশের উপর সম্রাজ্যবাদ শক্তি হস্তক্ষেপ করে
তাহলে বাংলাদেশ তার চরম বিরোধিতা করে। তাই বাংলাদেশ ইয়াহূদীবাদ, সম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা তার জন্মলগ্ন থেকেই করে আসছে।
১০.
জাতিসঙ্ঘের নীতি মেনে চলাঃ বাংলাদেশ সব সময় জাতিসংঘের নিয়ম-নীতির প্রতি
শ্রদ্বাশীল। তাই বাংলাদেশ সব সময় তাদের অংগ-সংগঠনের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।
বাংলাদেশ জাতিসংঘ এবং তার অংগ সঙ্গঠনের পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন
কমলওয়েলথ,ও.আই.সি, অপেক, ই.ইউ, ইত্যাদি সংস্থার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখে।
বাংলাদেশ
পররাষ্ট্র নীতি নির্ধারণকারী: বাংলাদেশ
বিদেশী নীতির কিছু নির্ধারণকারী যা বিদেশী নীতি তৈয়ার উপর প্রভাব আছে আছে। এসকল
নীতি দুইটি জিনিসের উপর নির্ভরশীল।তা হল আভ্যন্তরীন বিষয় আর বৈদেশিক বিষয়। এই
নির্ধারণকারী প্রতিটি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিচে দেওয়া হল:
আভ্যন্তরীন
বিষয়
১.
ভৌগোলিক পরিস্থিতি: ভৌগোলিক ও কৌশলগত
অবস্থান সর্বদা দেশের বৈদেশিক নীতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা.
আন্তর্জাতিক রণক্ষেত্র একটি দেশের কৌশলের একটি রাজ্য ভূগোল দ্বারা এ সংজ্ঞায়িত.
এটা কেন একবার নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেন যে, "একটি দেশের বৈদেশিক নীতি তার ভূগোল দ্বারা. নির্ধারিত হয়" বাংলাদেশ এই
একটি ব্যতিক্রম হল না.ভূগোল ভারত এবং মায়ানমার এর একটি প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশ
করা তিন পক্ষের মধ্যে বঙ্গোপসাগর সঙ্গে দক্ষিণ ব্যতীত. ভারত তিন দিক থেকে বাংলাদেশ
বেষ্টিত এবং বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গোপসাগর থেকে একটি পশমী কাপড় মত হয়. এই
অবস্থান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকারক এবং এটা বাংলাদেশের বৈদেশিক নীতি
প্রভাবিত.ভৌগলিক অবস্থানের জন্য পাকিস্তান এবং চীনের সাথে বাংলাদেশকে সুসম্পর্ক
বজায় রাখতে হয়।
২.
ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি: যেহেতু বাংলাদেশের
চতুর্দিক থেকে ভারত বেষ্টিত তাই ভারত ঘেঁষা এবং ভারতবিরোধী দুই ধরনের পারস্পরিক
বিপরীত নীতির জন্য বাংলাদেশের এক সংকটপূর্ণ অবস্থায় পররাষ্ট্র নীতির নিয়ামক হিসেবে
কাজ করছে। ৩. ভূ-অর্থনীতি পরিস্থিতি: যেহেতু বিশাল ভারত আমাদের চারদিকে ঘিরে
রেখেছে।এই ভারত আমাদের অর্থনীতিকে কব্জা করে রেখেছে।আবার আমাদের দক্ষিণে
বঙ্গোপসাগর অবস্থিত যা আমাদের বাণিজ্যের দুয়ারকে উন্মুক্ত করে দিয়েছে।এই জিনিসগুলো
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।
৪. জনসংখ্যা:
জনসংখ্যার অন্য বাংলাদেশ বৈদেশিক নীতির গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক.বাংলাদেশ
কাছের ১৫ কোটি জনসংখ্যার বিশাল জনসংখ্যা আছে, ১৪৭,০০০ কিলোমিটার যা কিমি প্রতি ১০২০
ব্যক্তির জনসংখ্যার ঘনত্ব দেয় একটি এলাকায় চিপা হয়. এই বিশাল জনসংখ্যার
অধিকাংশই অশিক্ষিত এবং অদক্ষ. তাই বাংলাদেশ বিদেশী নীতি মূলত এই বিশাল জনসংখ্যা
দ্বারা প্রভাবিত নেতিবাচকভাবে কারণ সরকার একটি অত্যন্ত প্রগতিশীল কারণ জনসংখ্যার
বিদেশী নীতি তৈরি করতে পারবেন.
৫.
অর্থনৈতিক অবস্থা: একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অতি একটি দেশের বৈদেশিক নীতি
প্রভাবিত. যদি একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সুস্থিতই চেয়ে একটি দেশের বৈদেশিক
নীতি হয়ে শক্তিশালি কারণ নীতি বাস্তবায়নের একটি বড় পরিমাণ আর্থিক পৃষ্ঠপোষক উপর
নির্ভরশীল. বাংলাদেশ অর্থনৈতিক খুব খারাপ অবস্থায়-প্রতি বাংলাদেশের পিছু আয় হল $ ৭৫0. সুতরাং সাহায্য LDC অবস্থা পেয়েছিলাম এবং আক্রমনাত্মক বিদেশী নীতি না প্রণয়ন করতে পারেন।
৬. জনমত: বাংলাদেশে জনমত বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতিতে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। যেমন শেখ মুজিবুর রহমান ভারত এবং
সোভিয়েতের সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চেলেও তাতে জনগণের সমর্থন ছিল না।তাই
পরবর্তীতে বাংলাদেশ মুসলিম বিশ্বের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়।
৭.
চাপসৃষ্টিকারী দল: বাংলাদেশে বিভিন্ন
চাপসৃষ্টিকারী দল আছে যেসকল দলসমূহ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতিকে নিয়ন্ত্রন করতে এক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যেমন নাইকো সহ বিভিন্ন
সরকার যখন কোন বিদেশী কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ব হয় তখন ঐ সকল দল সমূহ সরকারের
বিরুদ্বে চাপ সৃষ্টি করে তা বাতিল করার জন্য দাবী জানায়।এভাবে করে পররাষ্ট্রনীতির
নিয়মক হিসেবে কাজ করে।
৮.
ধর্ম: ধর্ম হল অন্য নির্ধারক যা বাংলাদেশ
ফরেন পলিসি উপর এর প্রভাব স্থাপিত খুব কার্যকরীভাবে.কারণ এই দেশের প্রায় ৯০ ভাগ
লোক মুসলিম। বাংলাদেশ শুরুতে ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র এবং এখনও এটা কিন্তু
জিয়া উর রহমান রাজত্বের সময়ে অবস্থা মুসলিম জাতি থেকে সংবিধানের কারণ হবে মুসলিম
বিশ্বের দ্বারা বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত হবে সংশোধনী দ্বারা পরিবর্তিত হয়. অন্য
সংশোধনী দ্বারা এটি লুপ্ত ছিল. মানুষ তাই ধর্মীয় পরিচয় বাংলাদেশ বিদেশী নীতির
তৈয়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা.সংবিধানে ২৫ ধারার ২ অনুচ্ছেদে এ কথা বর্ণনা করা
হয়েছে যে, “রাষ্ট্র ইসলামী সংহতির ভিত্তিতে মুসলিম দেশসমূহের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি
সংরক্ষণ ও জোরদার করতে সচেষ্ট হয়”।
আন্তর্জাতিক
প্রেক্ষিত ৯. ভাবগত পরিবেশ এবং বিশ্ব রাজনীতির
প্রেক্ষাপট: ভাবগত পরিবেশের অন্য
বিদেশী নীতির তৈয়ার গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক. যদি কোন রাষ্ট্র কোন ভাবগত পরিবেশ
একটি তারপর যে দেশের বৈদেশিক নীতির দ্বারা এই হিসাবে এটা সমাজতন্ত্র ঠান্ডা
যুদ্ধের সময় বৃদ্ধি পূর্ব ইউরোপের মধ্যে হয়েছে দেখা প্রভাবিত যাবে নির্মিত
উপস্থিত থাকে. বাংলাদেশ হচ্ছে ভারত সোভিয়েতের এক জোটসঙ্গী ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালে
সাহায্য সঙ্গে স্বাধীন বৈদেশিক নীতি মানদণ্ড এক সমাজতন্ত্র অনুসরণ করে যদিও পরে
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে দিকে ঝুকে পড়ে।
১০.
সরকার, নেতৃত্ব এবং কূটনীতি যোগ্যতা: চলমান নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী হয় এবং রাজনীতির
সঙ্গে কুটনীতি যুক্ত হয়ে অত্যন্ত যোগ্যতাসম্পন্ন সরকার সহজেই একটা শক্তিশালী করার
যন্ত্র বৈদেশিক নীতি প্রণয়ন করতে পারেন। পাকিস্তানের বিরুদ্বে যুদ্বে অংশগ্রহণ
করার জন্য বংগবন্ধুর ভিতর ভারতীয় প্রভাব বিরাজমান ছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের একটি
অংশ সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী।তাই বংগবন্ধু সোভিয়েত ব্লকের দিকে বেশি ঝুকে পড়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে জিয়ায়ুর রহমান এবং এরশাদ পরবর্তীতে মুসলিম বিশ্ব ও
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুকে পড়েছিল।যদিও তারা ভারতের সাথে সম্পর্ক কখনও খারাপ করে
নাই।
১১.
আঞ্চলিক পরিবেশ: বাংলাদেশের মত সল্পোন্নত
দেশসমূহ আন্তর্জাতিক বিশ্বে কোন ধরনের প্রভাব রাখতে পারে না।কিন্তু দক্ষিণ এশিয়ার
দেশসমূহের মাঝে একটি সমধুর সম্পর্ক যেন গড়ে তোলা যায় এই লক্ষ্যে জিয়ায়ুর রহমান
সার্ক গঠনে সফলতা অর্জন করেছিলেন।তাই আঞ্চলিক পরিবেশ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির
একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
উপসংহার
পরিশেষে
বলা যায় যে,৩য় বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের যেরকম
পররাষ্ট্রনীতি থাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অনেকটা সেরকম।বাংলাদেশকে অন্যান্য ৩য়
বিশ্বের রাষ্ট্রের মত অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহায়তার জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের নিকট
সাহায্যপ্রাপ্ত হওয়ায় তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক ও
সামাজিকভাবে দাড় করানোর জন্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি আরও সুসংহত হওয়া উচিৎ।
No comments:
Post a Comment