ভূমিকা
খৃষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে প্রাচীন
ভারতীয় আর্য সমাজের বিবর্তনের এক যুগ সন্ধিক্ষণে গৌতম বুদ্বের আবির্ভাব ঘটে এবং
বৌদ্ব ধর্মের প্রবর্তন করেন। ধর্ম দর্শন ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসে রুপান্তরের ধারায় এক
বিপ্লবী পরিবর্তন নিয়ে আসেন। বিগত আড়াই হাজার বছর ধরে তার ধর্ম দর্শন নিয়ে নানা
ধরনের জল্পনা;কল্পনা চলে আসছে। তার প্রচারিত
ধর্মের নাম বৌদ্ব ধর্ম। এই ধর্মের পরিচয় দিতে গিয়ে একজন মনীষী বলেছেন,
A Buddist is same one who
follows the religion called Buddism which who found by bUddha in India ground 400 BC
বৌদ্ব ধর্মের পরিচয়
বৌদ্ব ধর্মের লোকেরা তাদের ধর্ম
ছাড়া আর কোন ধর্ম মানে না। চীনের প্রায় সকল লোক বৌদ্ব। সেই সাথে জাপান,কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া,সাইবিরিয়ার অধিকাংশ লোক বৌদ্ব। ভুটান,সিকিম সব স্থানের লোকেরা বৌদ্ব। শ্রীলংকা,বার্মা,সায়াম ও আনামের
সকল লোকেরা বৌদ্ব ধর্মের অনুসারী। ভারতীয় উপমহাদেশের একটি নির্দিষ্ট অংশের লোকেরা
এই ধর্মকে অনুসরণ করে থাকে।বর্তমানে এই উপমহাদেশের অনেক হিন্দু এই বৌদ্ব ধর্মের রীতি-নীতি মেনে
চলে। একসময় বৌদ্বদের আরও প্রভাব ছিল।তাদের প্রভাব সদূর তুর্কিমিনিস্তা,কাবুল ও পাকিস্তানের বেলুচিস্তান ও সিন্ধুতে ছিল।পারস্যে
বৌদ্ব ধর্মের ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। এখন যেই ধর্মটি পৃথিবীতে এত প্রসার লাভ
করল তা কীভাবে করল তার ইতিহাস সকলের জানা দরকার।
বৌদ্ব ধর্মের ইতিহাস লিখার জন্য
অনেকে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কেউ পুরোপুরিভাবে এই ধর্মের সামগ্রিক
ইতিহাস তুলে ধরতে সক্ষম হন নাই। কারণ বৌদ্বগণ নিজেরাই তাদের কোন ইতিহাস লিখে যায়
নাই।এছাড়া এখানকার হিন্দু,মুসলিম অন্যান্য
সম্প্রদায়ের কোন লোক বৌদ্ব ধর্ম সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট ধারনা দিয়ে যান নাই।
ইউরোপীয়গণ সর্বপ্রথম বৌদ্ব ধর্মের ইতিহাসের ব্যাপের একটি সম্যক ধারনা প্রদান করেছিল।
কিন্তু তারা যেখানে যেভাবে
মানুষকে বৌদ্ব ধর্ম পালন করতে দেখেছে তার উপর ভিত্তি করে বৌদ্ব ধর্মের ইতিহাস
ব্যাখ্যা করেছে।
সাধারণভাবে বলা যায় যে, গৌতম বুদ্ব কর্তৃক যেই ধর্ম প্রবর্তিত হয়েছে তাই হল বৌদ্ব
ধর্ম।
শ্রীলংকার বৌদ্বগণ বলে থাকেন,
যারা গৃহত্যাগ করে বৌদ্ববিহারে
বসবাস করে তারাই বৌদ্ব।
আবার নেপালী এবং তিব্বতীয়
বৌদ্বগণের মতে,
যারা পঞ্চশীলা পালন করার জন্য
সংকল্প গ্রহণ করে তারাই বৌদ্ব।
আবার কারও মতে, সকলে জন্মগতভাবে বৌদ্ব।যারা বিশ্বকে উদ্বার করতে সক্ষম হবে
তারাই বৌদ্ব।
বৌদ্ব ধর্মের উৎপত্তি সংক্রান্ত মতবাদ
বৌদ্ব ধর্মের উৎপত্তি কিভাবে
হয়েছে তা নিয়ে বেশ কয়েক ধরনের মতবাদ রয়েছে। যা হল
যজ্ঞা মতবাদ
বুদ্ব যখন দেখতে থাকে অনেক মানুষ
পৃথিবী থেকে কীভাবে বিদায় নিচ্ছে, কীভাবে তারা
রোগ্রান্ত হচ্ছে,তারা কীভাবে
দুঃখ-দুর্দশার ভিতর জীবন-যাপন করছে তা থেকে মুক্তি লাভের জন্য তিনি নৈকতার মাধ্যমে
যেই মতবাদ চালু করেন তাকেই বৌদ্ব ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় এবং সেখান থেকে তার
দর্শনের সূচনা ঘটে।
হিন্দু ধর্মের ঔদ্বত্যবাদ
প্রাচীন ভারতবর্ষে হিন্দু সমাজে বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত ছিল।তখন
ব্রাহ্মণগণ অন্যসকলের চেয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠতর বলে দাবি করত। তারা অন্যসকল
সম্প্রদায়কে অত্যন্ত নীচু চোখে তারা দেখতে থাকে এবং তাদের উপর বিভিন্ন ধরনের দমন ও
নীপিড়নমূলক অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হতে থাকে। এইসকল অবস্থা অনেকে সহ্য করতে
পারল না।তাদের ভিতর গৌতম বুদ্ব ও মহাবীর অন্যতম।তাই তারা পৃথক একটি ধর্ম প্রতিষ্ঠা
করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে।আর সেখান থেকেই বৌদ্ব এবং জৈন ধর্মের প্রবর্তন ঘটে।
বৌদ্ব ধর্মের সংখ্যাবাদ
কেউ কেউ বৌদ্বধর্মের উৎপত্তির
সাথে সংখ্যাবাদের তুলনা করে থাকে। এই ধর্মে বিভিন্ন ধরনের সংখ্যার অস্তিত্ব পাওয়া
যায়। যা হল চারটি আর্যসত্য, অস্টমার্গ, পঞ্চশীলা ইত্যাদি। তাদের ধর্মের ভিতর প্রায় এভাবে করে ২৪৭টি
শীল পাওয়া যায়। যে তা অর্জন করবে সে মহাথর নামে পরিচিতি লাভ করবে যার অর্থ হিসেবে
অনেকে বলেছেন ব্রাহ্মণদের থেকে মুক্ত।
বৌদ্ব ধর্মের ক্রমবিকাশ
গৌতম বুদ্ব যখন তার বৌদ্ব ধর্মের
মতাদর্শ প্রচার শুরু করে তখন তার জনপ্রিয়তা অতি স্বল্প সময়ে চারিদিকে ব্যাপকভাবে
ছড়িয়ে পড়ে। তার পিছনে কিছু কারণ ছিল। বৌদ্ব ধর্মের প্রসারের একটি অন্যতম কারণ ছিল
এর সরলতা এবং মানুষের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শন।বৌদ্বধর্মের প্রচার ও প্রসারকে আমরা
সময়ভেদে দুই ভাগে ভাগ করতে পারি যা হল বুদ্বের জীবদ্দশায় প্রচার এবং বুদ্বের
মৃত্যুর পর প্রচার।
আবার স্থানভেদে বৌদ্বধর্মের
প্রচার ও প্রসারকে আমরা দুইভাগে বিভক্ত করতে পারি যা হল ভারতবর্ষে বৌদ্ব ধর্ম আর
হল ভারতবর্ষের বাহিরে বৌদ্ব ধর্ম।
গৌতম বুদ্বের যুগে বৌদ্ব ধর্ম
বুদ্বদেব প্রথমে সারনাথের
নিকটবর্তী মৃগশিব বনে তার নতুন ধর্মের প্রচারণা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি
বৈশাখী,
শ্রাবন্তী, রাজগৃহ, নিজ পিতৃভূমি কপিলাবস্তু, প্রভৃতি অঞ্চলে বৌদ্ব ধর্মের প্রচার করতে থাকেন।এছাড়া গৌতম বুদ্ব সেই সময় কিছু
রাজন্যবর্গের সহায়তায় ভারতের বিভিন্ন অংগরাজ্যে বৌদ্ব ধর্মের প্রচারে এক বিশেষ
ভূমিকা পালন করেন। তার সময়ে বিহার, মগধ,
অযোধ্যা, উত্তর বিহার, চেদি,মঙ্গল, বৎস, কুরু, জয়পুর, পানচাল ইত্যাদি
অঞ্চলে বৌদ্বধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। তখনকার মগ্ধের রাজা বিসবিশর বৌদ্ব
ধর্মের প্রসারে এক সহয়ায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন।তার পুত্র আজতাহুত ৮০টি বিহার
নির্মাণ করেছিল এবং তা গৌতমকে ধর্ম প্রচার জন্য উপহার দিয়েছিলেন। এছাড়া রাজা
প্রসেনজিৎ, রাজা উদেন এবং রাজা পজজত বৌদ্ব
ধর্মের প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এরপর গৌতম বুদ্ব যখন
মৃত্যুবরণ করে তার পর বৌদ্বধর্মের ব্যাপক প্রসার ঘটে থাকে যার একটি বর্ণনা নিম্নে
পেশ করা হলঃ
গৌতম বুদ্বের মৃত্যুর পরবর্তীতে
বৌদ্ব ধর্ম
বুদ্বের মৃত্যুর পর থেকে বৌদ্ব
ধর্ম ব্যাপকভাবে চারিদিকে প্রসার ঘটতে থাকে। তার মৃত্যুর কিছুদিন পরে রাজ্যগৃহে
একটি সভা অনুষ্ঠিত।তার মৃত্যুর ঠিক একশ বছর পর ভায়শালীতে দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই সকল সভাসমূহকে কেন্দ্র করে বৌদ্ব ধর্মের বিস্তৃতি ঘটতে থাকে। সর্বপ্রথম সম্রাট
অশোক বৌদ্ব ধর্মের প্রসারে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সম্রাট অশোকের
সময় মগ্ধ ও কোশলকে কেন্দ্র করে বৌদ্ব ধর্ম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে
তখন বেশ কিছু ছোট-বড় নৃপতির বসবাস ছিল। রাজা মিনান্দার সহ বেশ কিছু গ্রীক এ সময়
বৌদ্ব ধর্ম গ্রহণ করে এবং এর প্রসারে সাহায্য করে। ১ম শতাব্দীতে কনিস্কের চেষ্টায়
বৌদ্বধর্ম আফগানিস্তান ব্যাকট্রিয়া কাশগড়, খোটান ও কাশ্মীরে তা প্রসার লাভ করে।ভারতীয় উপমহাদেশের প্রত্যকটি রাজবংশ কম-বেশী
বৌদ্ব ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে।তাদের ভিতর মৌর্য,গুপ্ত,কুশন,বর্ধন,পাল বংশের
লোকেরা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।রাজা ২য় চন্দ্রগুপের সময় বৌদ্ব ধর্মে ব্যাপক প্রসার
ঘটেছিল। ক্রমশ তা মধ্য এশিয়ার দিকে আসতে
থাকে। ১ম ও ২য় শতকে তা চীনে ব্যাপক প্রসার লাভ করে। সম্রাট অশোকের সময় বৌদ্ব ধর্ম
শ্রীলংকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রচারক পাঠানো হয়। যার ফলে মিয়ানমার, লাওস ও থাইল্যাণ্ডের অনেকে বৌদ্বধর্ম গ্রহণ করেন।৩য় ও ৬ষ্ঠ
শতকে জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপে বৌদ্ব ধর্ম ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ৭ম শতকে তা কোরিয়া, জাপান, মংগোলিয়া ও
তিব্বতে পৌছে যায়।
হীনযানী বৌদ্বদের প্রচার
বুদ্ব বৌদ্বধর্মে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তার এই
নব ধর্ম প্রচারের পর থেকে আবার তার শিষ্যগণ তার কাছে ফিরে আসতে শুরু করে। এরা পাঁচ
জন তিনবার এই কথা বলে শপথ করে যে, আমি বুদ্বের
নামে শরণ নিলাম,আমি বুদ্বের ধর্মের শরণ নিলাম আমি
সঙ্ঘের শরণ নিলাম।
তার কাছে কোন অপরাধী, সৈনিক, ঋণগ্রস্থ, দাস,ক্ষয়-রোগী, মৃগীরোগী প্রভৃতি লোকেরা আসতে পারত না। সেখানে প্রবেশের
জন্য যেকাউকে বিশ বছর হতে হত। পিতা-মাতার অনুমতির প্রয়োজন ছিল। পঞ্চশীল তাদের ভিতর
বলা হয়েছে। যা হলঃ কোন প্রাণীকে হত্যা করা যাবে না,কাজ করার সময় স্বার্থকে মনে স্থান না দেয়া, মিথ্যা না বলা,চুরি না করা, বুদ্বি লোপ পাওয়ার মত কিছু না খাওয়া, মন ও শরীরকে পবিত্র রাখা।
অন্যদিকে সন্ন্যাসীদের জন্য আরও
৫টি নীতি ছিল যা হলঃ
আহারে সংযমী, নৃত্যগীত করা যাবে না।, সাজসজ্জা করা যাবে না।, বিলাসভুল শয্যা
ব্যবহার করা যাবে না, কোন সোনা-রুপা
ব্যবহার করা যাবে না।
নারীদের জন্যও পৃথক বৌদ্বশালা
নির্মিত হয়। তিনি পরবর্তীতে নারীদের আশ্রমে প্রবেশের অধিকার প্রদান করেন। তার
মৃত্যুর পর বেশ কয়েক শতাব্দী ধরে বৌদ্ব ধর্মের প্রসার ঘটতে থাকে এই
উপমহাদেশে।বৌদ্ব ধর্মের প্রসারের একটি অন্যতম কারণ ছিল এর সরলতা এবং মানুষের প্রতি
ভালবযায়।
সম্রাট অশোকের সময় মগ্ধ ও কোশলকে
কেন্দ্র করে বৌদ্ব ধর্ম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উত্তর-পশ্চিম ভারতে তখন বেশ কিছু
ছোট-বড় নৃপতির বসবাস ছিল। রাজা মিনান্দার সহ বেশ কিছু গ্রীক এ সময় বৌদ্ব ধর্ম
গ্রহণ করে এবং এর প্রসারে সাহায্য করে। ১ম শতাব্দীতে কনিস্কের চেষ্টায় বৌদ্বধর্ম
আফগানিস্তান ব্যাকট্রিয়া কাশগড়, খোটান ও
কাশ্মীরে তা প্রসার লাভ করে। ক্রমশ তা মধ্য এশিয়ার দিকে আসতে থাকে। সম্রাট অশোকের
সময় বৌদ্ব ধর্ম শ্রীলংকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রচারক পাঠানো হয়। যার ফলে
মিয়ানমার,
লাওস ও থাইল্যাণ্ডের অনেকে বৌদ্বধর্ম গ্রহণ করেন।
মহাযনীদের প্রচার
এই সম্প্রদায়টি প্রাথমিকভাবে
অন্ধকারের উপর ছিল। তাদের উৎপত্তি কখন হয় সেই ব্যাপারে সঠিক ধারনা পাওয়া যায় না।
তারা মহাত্মা বুদ্বের অনেক ধ্যান-ধারনাকে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে তাদের ধর্মের
প্রচারনা চালায়। তারা তাদের ধর্মীয়
ক্ষেত্রে যেইসকল সংস্কার নিয়ে আসে তা হলঃ
প্রথমত ধর্মকায়া এক পরম সত্যের
ধারনা সৃষ্টি করে যার মাধ্যমে বিশ্ব অস্তিত্ব লাভ করে।
২। সে গৌতমকে ঈশ্বরত্বের মর্যাদা
প্রদান করেন।
৩।বোধি অর্জনের লক্ষ্য প্রত্যেক
মানুষের লক্ষ্য নয়।যে তা অর্জন করতে পারবে না তার সাথে মানুষের ভাল ব্যবহার করতে
হএব।
৪। গৌতম বুদ্বের উপর বিশ্বাস
স্থাপনের মুক্তির হিসাব হিসেবে ধরা হয়।
৫। তারা স্বর্গ নরকের চিত্র অংকন
করে।
৬। চিত্রে-বিগ্রহের প্রসার ও
পৌত্তলিকতার জয়।
এদের এই সকল মতবাদের দ্বারা
বৌদ্বধর্ম এর প্রচার ও প্রসার এশিয়ার একটি বৃহত্তর অঞ্চল জুড়ে করতে থাকে। তারা
তাদের প্রচারনার দ্বারা চীন,তিব্বত,মংগোলিয়া, জাপান,কোরিয়ার একটি বৃহৎ অংশে বৌদ্ব ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম
হয়েছে।
বৌদ্ব ধর্মের পতন
বৌদ্ব ধর্ম শুরুতে যেমন একটি
প্রচারধর্মী ধর্ম ছিল পরবর্তীতে তা আর ছিল না।ক্রমান্বয়ে তার অধঃপতন ঘটতে থাকে।
তার পিছনে বেশ কিছু কারণ ছিল যা হল
বৌদ্ব ধর্মের সহজীকরণ ও
ব্যাভিচারের অনুপ্রবেশ
হীনযান এবং মহাযান থেকে পৃথক একটি
সম্প্রদায়ের উদ্ভব ঘটে যারা সহজযান নামে পরিচিত ছিল।তারা বৌদ্ব ধর্মকে ক্রমান্বয়ে
সহজ থেকে সহজের দিকে ধাবিত করতে থাকে।যেখানে গৌতম বুদ্ব এবং হীনযান ও মহাযানগণ পঞ্চকামপভোগকে নিষিদ্ব
ঘোষণা করেছে সেখানে তারা ধর্মকে সহজ করতে গিয়ে যে মতবাদ প্রচার করতে লাগল তার
দ্বারা বৌদ্ব ধর্মে ব্যাভিচারের হার মাত্রারিক্ত হারে বেড়ে যায়। সেখানে নেড়ানেড়ীর
অবস্থার সৃষ্টি হয়। তারা সন্ধ্যাভাষায় গান রচনা করতে থাকে।তার ভিতর থেকে
বৌদ্বধর্মের দেহ কামতত্ত্বের ব্যাপক প্রসার ঘটতে থাকে। এভাবে করে তাদের পতনের
প্রথম ধাপের সূচনা ঘটে
বিলাসী জীবন-যাপন
বৌদ্ব ভিক্ষুকগণ প্রথমে অতি
অনাড়াম্বর জীবন-যাপন করত।কিন্তু ক্রমান্বয়ে তাদের ভিতর বিভিন্ন ধরনের বিলাসীতার
স্থান আসতে থাকে। পরবর্তীতে বৌদ্ব ভিক্ষুকগণ রেশমী কাপড় পরিধান করা শুরু করে। তারা
পুথি পড়তে শুরু করে এবং তার উপর সোনালী কাজ করত।এভাবে করে তারা ইন্দ্রাসীক্তের
দিকে ধাবিত হতে থাকে।
পূজা-অর্চনার অনুপ্রবেশ
বিধর্মীদের ভাবধারার প্রসার
মুসলিম আগ্রাসন
No comments:
Post a Comment