সাওমে
বিসাল
বিসাল
আরবী শব্দ যার অর্থ হল নিরবিচ্ছিন্নভাবে দুটি বস্তুর পারস্পারিক ধারাবাহিকতা।
বযলুল
মাজগুদ গ্রন্থাগার বলেন,
রাতের
বেলা পানাহার না করে দুইদিন বা ততোধিক দিন ধারাবাহিকভাবে রোযা রাখাকে সাওমে বিসাল
বলে।
মিরকাত
গ্রন্থে বলা হয়েছে,
নৈশভোজ
ব্যতীত একাধারে রোযা রাখাকে সাওমে বিসাল বলে”।
ইমাম আবূ
ইউসুফ এবং মুহাম্মদ(র.) বলেন,
দুইদিন
একটানা পানাহার ব্যতীত রোযা রাখার নাম হল সাওমে বিসাল।
ইবাদত-বন্দেগীর
মাধ্যমে রমযানকে এমনভাবে বিশেষায়িত করতেন যা অন্য কোন মাসের বেলায় করতেন না। তিনি
কখনো সেহরি গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকতেন। উদ্দেশ্য ছিল রাত ও দিনের পুরো সময়টাই
ইবাদতে কাটিয়ে দেয়া।
রাসূলুল্লাহ
সাহাবাদেরকে সেহরি গ্রহণ না করে সওমে বিসাল পালন হতে বারণ করতেন। তাদেরকে বলতেন:
“আমি তোমাদের মত নই। আমি রাত্রিযাপন
করি, অন্য এক বর্ণনায়, আমি আমার রবের সান্নিধ্যে থাকি।
তিনি আমাকে খাওয়ান ও পান করান”।
তিনি
উম্মতের প্রতি দয়া পরবশ হয়ে সওমে বিসালকে নিষিদ্ধ করেছেন। তবে সেহরির সময় পর্যন্ত
রোযা দীর্ঘায়িত করার অনুমতি দিয়েছেন। সহীহ বুখারীতে আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন,
“তোমরা সওমে বিসাল পালন কর না। যে
ব্যক্তি এরূপ করতে চায়,. সে যেন তা কেবল সেহরি পর্যন- করে”।
)
ইমাম
আহমদ(র.) এর অভিমত
ইমাম
আহমদ বিন হাম্বলের মতে সাওমে বিসাল জায়েয আছে। কারণ আয়শা(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
“রাসূল(সাঃ) তোমাদের জন্য
রহমতস্বরুপ সাওমে বিসাল নিষেধ করেছেন”।
ইমাম
মালিক(র.) ও শাফিঈ(র.) এর অভিমত
ইমাম
মালিক(র.) এর মতে এধরনের সাওম হারাম।কিন্তু ইমাম শাফিঈ (র.) ব্যখ্যা করেছেন যে, রাসূল(সাঃ) যেভাবে তা নিষেধ করেছেন তাতে তার সর্বোচ্চ পর্যায় হারাম আর
সর্বনিম্ন পর্যায় মাকরুহ।
ইমাম আবূ
হানীফা(র.) এর অভিমত
ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মতে তা জায়েয নয়।কারণ তা
কেবলমাত্র নবীর সাথে সম্পর্কযুক্ত।তাই তা জায়েয হতে পারে না।আর হাদীসে বলা হয়েছে, “তোমরা সওমে বিসাল পালন কর না। এই
হাদীসে ধমকী অর্থে নিষেধ করা হয়েছে।
No comments:
Post a Comment