Monday 26 August 2013

প্রশ্নঃ হত্যা কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কি কি? হত্যার শাস্তির বিধান কি আলোচনা কর।


ভূমিকা


 

আল্লাহ বলেন,

 

যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেনসব মানুষকেই হত্যা করে।[মায়িদাঃ৩২]

 

হত্যা একটি জঘন্য অপরাধ তা সমাজ তেকে দূর করা জন্য ইসলাম কিছু দণ্ডবিধি প্রণয়ন করেছে যা সম্পর্কে নিনে আলোচনা করা হলঃ

 

হত্যা কি


 

কতল একটি আরবী শব্দ যার অর্থ হল কর্তন করা,দূরীভূত হওয়া,জীবন কেড়ে নেওয়া, কারও প্রাণনাশ করা,কোন মানুষের মাধ্যমে অন্য কোন মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া,হত্যা করা ,murder,killing, assain.

 

হত্যার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ইসলামী বিধিবদ্ব আইনের বলা হয়েছে,

 

 যে কাজের দ্বারা মানবদেহ থেকে প্রাণের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে তাকে হত্যা বলে।

 

অন্যদিকে মুজামু লুগাতিল ফুকাহা গ্রন্থে বলা হয়েছে,

 

দেহ থেকে প্রাণের সম্পর্ককে ছিন্ন করা দেওয়াকে হতা বলে।

 

Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে,

 

Murder means unlawful killing of human being, intentionally committed is murder.

 

আবুল কূদরী বলেন,

 

Religion prohibites the killing of man other, except on the basis of Quran is murder.

 

ইবনে হুম্মাম বলেন,

 

হত্যা এমন একটি কাজ যা মানুষের পক্ষ থেকে সঙ্ঘটিত হয়,অন্য কারও জীবনাসন হয় অর্থাৎ একজন মানুষের প্রাণে অন্যের জীবন চলে যাওয়া হল হত্যা

 

অর্থাৎ, কারও প্রাণনাশ করাকে কতল বলা হয়।

 

 

 

হত্যার প্রকারভেদ


 

হত্যা সাধারণভাবে দুই প্রকার যা হল নিষিদ্ব হত্যা এবং অধিকার আদায়ের জন্য হত্যা।

 

শরীয়াতের বিচার-বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে হত্যা পাঁচ প্রকারের হয়ে থাকে।তা হলঃ

 

১. হারাম হত্যা             ২. ওয়াজিব হত্যা                      ৩. নিষিদ্ব হত্যা                       ৪. মাকরুহ হত্যা                             ৫. মুবাহ হত্যা

 

মানবহত্যা প্রকৃতপক্ষে পাঁচ প্রকারের হয়। তা হলঃ

 

১. কতলে আমদ বা ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যাঃ কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় অস্ত্র দিয়ে হোক বা অস্ত্র দিয়ে না হোক যদি সে সজ্ঞানে অন্য কারও প্রাণনাশ  করে তাহলে তাকে কতলে আমদ বলা হয়।  ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মতে এই হত্যার জন্য অস্ত্র লাগবে।কিন্তু ইমাম মুহাম্মদ ও আবূ ইউসূফ এর মতে এর জন্য অস্ত্রের প্রয়োজন নেই।অস্ত্র ছাড়াও শ্বাসরোধ করে,পানিতে ডুবিয়ে মারলে কিংবা উপর থেকে ফেলে দিলে তা কতলে আমদের অন্তর্ভূক্ত হবে।      

 

২.কতলে শিবহে আমদ বা ইচ্ছাকৃত হত্যার সাদৃশ্য বা সংশয়পূর্ণভাবে হত্যাঃ     যে ধরনের বস্তু দ্বারা হত্যা সঙ্ঘটিত হয় না,কিন্তু সেধরনের বস্তু দ্বারা যদি ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয় তাহলে সেই ধরনের হত্যা হল কতলে শিবহে আমদ বলা হয়। ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মতে দেহ কাটে না কিংবা দেহ বিদ্ব হয় না এইরুপ বস্তু দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘটিত এর অন্তর্ভূক্ত হবে।আর ইমাম মুহাম্মদ(রঃ) ও আবূ ইউসুফ(রঃ)এর মতে যেসকল বস্তু দিয়ে পারতপক্ষে হত্যা করা যায় না, যেমন ক্ষুদ্র পাথর,লাঠি,চাবুক,কলম ইত্যাদি তা দিয়ে হত্যাকাণ্ড সঙ্ঘটিত হলে তা কতলে শিবহের অন্তর্ভূক্ত হবে।    

 

৩. কতলে খাতা বা ভুলবশত হত্যাঃ  কোন ব্যক্তি যদি অনিষিদ্ব কাজের পরিণতিতে ভুলে বা অসাবধানতাবশত কারণে কাউকে হত্যা করে তাহলে তাকে কতলে খাতা বলা হয়। যেমন কোন শিকারী একটি তীর নিক্ষেপ করল পশু শিকার করার জন্য আর যদি সেই তীরটি যদি ভুলে কোন মানুষের গায়ে বিদ্ব হয়ে সে মারা যায় তাহলে তা কতলে খাতা বা ভুলবশত হত্যার উদাহরণ হবে।   

 

৪. কতলে শিবহে খাতা বা অসাবধানতাবশত হত্যাঃ   অসাবধানতা ছাড়া কোণ ব্যক্তির যে কাজের দ্বারা হত্যা সঙ্ঘটিত হয় তাকে কতলে শিবহে খাতা বা ভুলবশত হত্যাকাণ্ড বলা হয়।যেমন কেউ যদি কোন ঘুমন্ত ব্যক্তি উপর ঘুমের উপর তার উপর যেয়ে পড়ে যায় তাহলে তা এই হত্যাকাণ্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।আবার যদি উপর থেকে কোন ব্যক্তি যদি নীচে পড়ে যায় আর যদি সে নীচে কোন ব্যক্তির উপর পড়ে যায় তাহলে তা এই হত্যাকাণ্ডের অন্তর্ভূক্ত হবে।  

 

৫. কতল বিত তসাব্বুব বা অনাকাংখিতভাবে হত্যাঃ যদি কোন ব্যক্তি প্রয়োজনীয় সতর্কতার অভাবে কাজের দ্বারা কারও প্রাণনাশ করে থাকে তাহলে তাকে কতল বিত তাসাব্বুর বলা হয়।যেমনঃ কেউ একটি গর্ত খুড়ে রাখল আর যদি সেখান দিয়ে অন্ধকারে যাওয়ার সময় যদি সে পড়ে যায় আর যদি সে মৃত্যুবরণ করে তাহলে তা কতল বিট তাসাব্বুরেরে অন্তর্ভূক্ত হবে।

 

 

 

হত্যাকাণ্ডসমূহের শাস্তি


 

উপরোক্ত পাঁচটি প্রকারের ভিতর প্রথমভাবে হত্যা সঙ্ঘটিত হলে পরে তার জন্য কিসাস বাধ্যতামূলক।অন্যদিকে বাকী চারভাবে হত্যা করা হলে সেখানে দিয়াত আদায় করতে হবে। কতলে শিবহে আমদের জন্য দিয়াত এবং কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে আর বাকিগুলোর জন্য দিয়াতএবং কাফফারা উভয় আদায় করতে হবে।

 

হত্যা একটি জঘন্য অপরাধ এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন,

 

সে প্রাণকে হত্যা করো না, যাকে আল্লাহ হারাম করেছেন। [বনী-ইসরাইলঃ৩৫]

 

যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবাপৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেনসব মানুষকেই হত্যা করে।[মায়িদাঃ৩২]

 

রাসূল (সাঃ) বলেন, হাশরের ময়দানে হত্যার শাস্তি সবার আগে দেওয়া হবে

 

 এসকল হত্যাকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

 

 

 

হত্যার বিধান


 

(১) হত্যাকারীকে বিবেকবান ও বালিগ হতে হবে।

 

(২)হত্যাকারী অস্ত্র দিয়ে হত্যা করবে।

 

(৩) হত্যাকৃত ব্যক্তির প্রাণনাশ হতে হবে।

 

 

 

অস্ত্র

 

ইমাম আবূ হানীফা (র.) এর মতে কেবলমাত্র লোহা দ্রব্য দ্বারা কাউকে হত্যা করলে কিসাস কার্যকর হবে। আর বাকি ক্ষেত্রে দিয়াত দিতে হবে। দলীল হল

 

আল্লাহ লোহা পাঠিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে প্রচণ্ড শক্তি"। [হাদীদঃ২৫]

 

তবে ইমাম শাফিঈ,মুহাম্মদ ও ইউসুফ(র.)এর মতে তা শুধু লোহার অস্ত্র নয় বরং তা শ্বাসরুদ্ব করে হত্যা করলে বা কাউকে পানিতে ডুবিয়ে মারলে যকোনভাবে হত্যা করলে তার জন্য কিসাস প্রযোজ্য হবে।

 

 

 

হত্যর প্রমাণ

 

হত্যার শাস্তি প্রণয়ণ করার জন্য কিছু প্রমাণ রাখতে হবে যা হলঃ

 

মৌখিক স্বীকৃতি,সাক্ষ্য দেওয়া,হলফ থাকা এবং আলামত থাকা।

 

 

 

হত্যার শাস্তি


 

হত্যার শাস্তি হিসেবে একজন হত্যাকারীর চারটি পরিভাষা ব্যবহৃত হয় যা হলঃ

 

১. পাপ

 

২. উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত

 

৩. কাফফারা

 

৪. কিসাস বা ক্ষমা লাভ

 

এসকল বিধানসমূহ কুরআন দ্বারা প্রমাণিত।

 

হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।হে বুদ্ধিমানগণ! কেসাসের মধ্যে তোমাদের জন্যে জীবন রয়েছে, যাতে তোমরা সাবধান হতে পার।(বাকারাঃ১৭৮)

 

আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়েচক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহেরবিনিময়ে সমান যখম। [মায়িদাঃ৪৫]

 

"মুসলমানের কাজ নয় যে, মুসলমানকে হত্যা করে; কিন্তু ভুলক্রমে। যে ব্যক্তি মুসলমানকে ভূলক্রমে হত্যা করে, সে একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং রক্ত বিনিময় সমর্পন করবে তার স্বজনদেরকে; কিন্তু যদি তারা ক্ষমা করে দেয়। অতঃপর যদি নিহত ব্যক্তি তোমাদের শত্রু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে এবং যদি সে তোমাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোন সম্প্রদায়ের অন্তর্গত হয়, তবে রক্ত বিনিময় সমর্পণ করবে তার স্বজনদেরকে এবং একজন মুসলমান ক্রীতদাস মুক্ত করবে। অতঃপর যে ব্যক্তি না পায়, সে আল্লাহর কাছ থেকে গোনাহ মাফ করানোর জন্যে উপর্যুপুরি দুই মাস রোযা রাখবে। আল্লাহ, মহাজ্ঞানী, প্রজ্ঞাময়"।  [নিসাঃ৯২]

 

উপরোক্ত আয়াতসমূহের দ্বারা হত্যার শাস্তির বিধান হিসেবে কিসাস,দিয়াত এবং কাফফারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এসকল বিধানবলী নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

 

 

 

কিসাসের বিধি


 

কিসাসের বিভিন্ন অর্থ আছে।তবে সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি যে, কোন ব্যক্তি হত্যা করা হলে তাকে পাল্টা হত্যা করাকে কিসাস বলা হয়। কিসাসের ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে,

 

হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করাহয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। [বাকারাঃ১৭৮]

 

আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়েচক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহেরবিনিময়ে সমান যখম। [মায়িদাঃ৪৫]

 

রাসূল (সাঃ) এই কিসাসের ব্যাপারে বলেন, মুমিনের রক্ত তিনটি কারণ ছাড়া হালাল নয়। তা হলপ্রাণের বদলে প্রাণ হত্যা করা, বিবাহিত ব্যভিচারীকে হত্যা করা এবং ইসলাম ধর্মত্যাগকারীকে হত্যা করা।

 

রাসূল(সাঃ) বলেন, কিসাস তোমরা তরবারী দিয়ে বাস্তবায়ন করবে"।

 

রাষ্ট্রীয়ভাবে নিযক্ত ব্যক্তি এই কিসাসকে বাস্তবায়ন করবে এবং শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে তার বাস্তবায়ন হবে।

 

 

 

দিয়াত


 

মানুষ হত্যার ক্ষেত্রে আদালতের মাধ্যমে পক্ষবৃন্দের আপোষ-রফার ভিত্তিতে যে অর্থ প্রদান করা হয় তা হল দিয়াত।

 

এই শাস্তি কেবলমাত্র তখনই প্রযোজ্য হবে যখন হত্যাকৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকেরা তা দাবী করবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়াহয়,তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতেহবে। [বাকারাঃ১৭৮]

 

দিয়াতকে উৎসাহিত করার জন্য আরও কিছু আয়াত রয়েছে যা হলঃ

 

 যদি ক্ষমা কর, তবে তা হবে পরহেযগারীর নিকটবর্তী [বাকারাঃ২৩৭]

 

যারা নিজেদের রাগকে সংবরণ করে আর মানুষের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করে, বস্তুতঃ আল্লাহ সৎকর্মশীলদিগকেই ভালবাসেন। [ইমরানঃ১৩৪]

 

এছাড়া রাসূল (সাঃ) বলেছেন, "কোন লোক যদি কারও জুলুমকে ক্ষমা করে দেয় তাহলে আল্লাহ তার মর্যাদাকে আরও বাড়িয়ে দেন"।

 

দিয়াতের পরিমাণ


 

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রক্তপণের পরিমাণ একশ উট বা দুইশত গাভী অথবা দুহাজার বকরী নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কেউ যদি অন্য কিছু দিয়ে তা পরিশোধ করতে চায় তাহলে উল্লেখিত পশুর বাজারদর হিসেব করে দিতে হবে। যেমন রাসূলুল্লাহ সা:এর যুগে কেউ নগদ মুদ্রায় রক্তপণ আদায় করতে চাইলে সেজন্য আটশ দীনার অথবা আট হাজার দিরহাম নির্ধারিত ছিল। হযরত উমর রা:এর সময় যেহেতু উটের দাম বেড়ে যায় ফলে রক্তপণ হিসেবে তিনি তখন এক হাজার স্বর্ণমুদ্রা তথা দীনার এবং রৌপ্যমুদ্রায় বার হাজার দীনার নির্ধারণ করেছিলেন। মনে রাখতে হবে যে, রক্তপণের এ উল্লেখিত পরিমাণ শুধুমাত্র ভুলবশত হত্যার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ইচ্ছাকৃত হত্যার পরিবর্তে নয়।

 

 

 

কাফফারা


 

কাফফারা কথাটি কুফর হতে এসছে যার অর্থ হল গোপন করা,ঢেকে রাখা।এখানে কাকফারা বলতে কোন অপরাধ রোধ করা বা তা পুনরায় যেন না হয় তা থেকে বিরত রাখানো।এটা কার্যকর করা জন্য একজন ক্রীতদাসকে মুক্ত করতে হবে নচেৎ তাকে টানা দুই মাস রোযা রাখতে হবে। ইমাম আবূ হানীফা(র.) এর মতে তা কেবলমাত্র ভুলবশত হত্যা সঙ্ঘটিত হওয়ার জন্য হবে অন্যথায় তা হবে না।কারণ আল্লাহ বলেন,

 

  কেউ কোনো মুমিনকে ভুলবশত হত্যা করে ফেললে সে অবশ্যই একজন মুমিন দাসকে মুক্ত করে দিবে এবং তার (নিহতের)পরিজনদের রক্তপণ প্রদান করবে যদি না তারা ক্ষমা করে দেয়। [নিসাঃ৯২]

 

শাফিঈ(র.) এর মতে সকল ধরনের হত্যাকাণ্ডে কাফফারা ওয়াজিব।।

 

মালিক (র.) এর মতে ইচ্ছাকৃত হত্যা ছাড়া এসকল হত্যার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।

 

আহমদ(র.) এর মতে তা সকল প্রকার হত্যার জন্য প্রযোজ্য হবে।

 

 

 

উপসংহার


 

পরিশেষে বলা যায় যে, হত্যা একটি জঘন্যতম অপরাধ যা আমাদের সমাজ থেকে দূর করার জন্য সকলের একসাথে কাজ করতে হবে।ইসলাম হত্যাকে সমাজ থেকে দূর করা জন্য যে বিধান দিয়েছে তার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারলে দেশের মানুষেরা অনেক শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

No comments:

Post a Comment

৩৮ তম বিসিএস এর রেজাল্ট

৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ কথা নিশ্চিত করেন। ...