ভূমিকা
হিন্দু ধর্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য
হল পুনর্জন্মে বিশ্বাস। পুনর্জন্মের অর্থ হলো জীবের মৃত্যুর পর আত্মা নতুন দেহ
ধারণ করে পুনঃপুনঃ পৃথিবীতে আগমন করবে। গীতায় বলা হয়েছে, ‘‘মানুষ যেমন জীর্ণ বস্ত্র পরিত্যাগ করে নতুন বস্ত্র গ্রহণ
করে,
আত্মাও তেমনি জীর্ণ দেহ ত্যাগ করে অন্য নতুন দেহ গ্রহণ
করবে। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস হল পুনর্জন্মবাদ যা অদ্বৈতবাদের সাথে গভীরভাবে
সম্পর্কিত। প্রাচীন বৈদিক যুগে এর অস্তিত্ব ছিল না।তখন পর্যন্ত হিন্দুদের ভিতর এই
জড়-পার্থিব জীবন সম্পর্কে আশাবাদী দৃষ্টিকোণ ছিল। তারা বিশ্বাস করত যে, মৃত্যুর পর তারা চিরকাল চালু থাকবে। তাদের ধারনা ছিল এমন যে, মৃত্যুর পর তারা পূণ্য কাজের জন্য স্বর্গে প্রবেশ করবে আর
মৃত্যুর পর তারা নরকে প্রবেশ করবে যদি তারা ভাল কাজ সম্পন্ন না করে যায়।কিন্তু
কিছুদিন পরেই তারা তাদের এই ধ্যান-ধারনাকে বিসর্জন দিয়ে পুনর্জন্মবাদে বিশ্বাসী
হয়ে উঠে। এই পুনর্জন্মে তাকে কৃতকর্মের ফল ভোগ করতে হয়। আর এই ধারা অনন্তকাল
পর্যন্ত বিরাজমান থাকবে। এই ধ্যান-ধারনা হিন্দুদের হীনবল ও নিম্নমুখী করে তুলে।তার
উপর এক হতাশাব্যঞ্জক ঔদাসীন্য মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে।উপরুন্ত এই বিশ্বাস থেকেই
অদৃষ্টবাদের রপগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ মানুষের ভাগ্য তার পুনর্জন্মবাদের দ্বারা
নির্ধারিত হয়ে থাকে। শত চেষ্টা করলেও তা পরিবর্তন করতে পারবে না। মানুষ তার
কৃতকর্মের দরুন নিম্ন জীব-জানোয়ারের রুপে জন্মগ্রহণ করতে পারে। হিন্দুধর্মে
আরাধ্যের আধিক্য তার অদ্বৈতবাদের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। অদ্বৈতবাদ হল সকল
দেব-দেবী ও সকল প্রাকৃতিক শক্তি যেমনঃ বায়ু, পানি,নদী,ভূমিকম্প,মহামারী ইত্যাদি এক একক প্রাণশক্তির বিভিন্নরুপ আছে।
জন্মান্তরবাদের সংজ্ঞা:
হিন্দু ধর্ম বিশ্বাস করে, জীবের মৃত্যুর পর আত্মা পুনরায় জীবদেহ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। হিন্দু ধর্মে মৃত্যু পরবর্তী জীবনে সবাই বিশ্বাসী। ‘জন্মান্তর’ কথাটির মূল অর্থ হল, জীবাত্মা একদেহ পরিত্যাগ করলে কর্মফল ভোগ করার জন্য অন্য দেহ ধারণ করে এ জগতেই পুনরায় জন্মগ্রহণ করে। গ্রীক ভাষায় এর অর্থ হল আত্মার পরিবর্তন।এক দেহ থেকে অন্য দেহে আত্মার অনুপ্রবেশ।
ইংরেজীতে বলা হয়, Rebirth,
transmigration of souls.
Oxford Dictionary তে বলা হয়েছ
The passing of a person 's soul after their death into another body.
বেদ, উপনিষদ এবং ভগবৎ
গীতায় বলা হয়েছে, জীবাত্মা
স্বরূপতঃ ঈশ্বরের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু জাগতিক বস্ত্তর প্রতি আসক্তিবশতই আত্মাকে
দেহ ধারণ করতে হয়। জীবাত্মার একাধিক জন্মগহণের কারণ হল তার ভোগাকাঙ্ক্ষা। আর এরূপ
পুনঃপুনঃ জন্ম গ্রহণকেই বলা হয় জন্মান্তরবাদ।
ধর্মদর্শন গ্রন্থের লেখক কল্যাণী সেনগুপ্ত বলেন,
জন্মান্তর্বাদ হল জীবনের জীবের
মৃত্যুর পর আত্মা পুনরায় নতুন দেহে পরিভ্রমণ করা। গীতায় বলা হয়েছে, মানুষ প্রকৃতির সংসর্গবশত প্রকৃতির, গুণ অর্থাৎ সত্ত্বঃ তমোঃ এবং রজঃ গুণের প্রভাবে সুখ-দুখ, মোহাদিতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে এবং আমি সুখী, আমি দুঃখী, আমি কর্তা, আমার কর্ম ইত্যাদি আমিত্ব প্রকাশ করতঃ কর্মনাশে প্রবৃত্ত
হয়। এ সকল কর্মফল ভোগের জন্য তাকে বারবার জন্মগ্রহণ করতে হয়। আর একাধিকবার
জন্মগ্রহণ করাকেই বলা হয় জন্মান্তরবাদ।
হিন্দু ধর্মে জন্মান্তরের প্রভাব
১. পরকালে অবিশ্বাসীঃ
. হিন্দু পন্ডিতগণ জন্মান্তরবাদের ধারণায় মনে করে, পরকাল বলতে কিছুই নেই; বরং মানুষ তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করার জন্য বারবার এ দুনিয়াতে বিভিন্নরূপে, বিভিন্ন বেশে আবির্ভূত হয়ে থাকে। কোন মানুষ যদি অতিশয় ঘৃণিত কুকর্ম করে মারা যায় তাহলে তার আত্মাটি কুকুর-বিড়ালের দেহ ধারণ করে পরজন্মে জন্মগ্রহণ করতঃ অতিশয় ঘৃণিত জীবন যাপন করে মানুষের তিরস্কার ভোগ করবে। আবার এমনও পাপ কাজ আছে, যার কর্মফল ভোগ করার জন্য বৃক্ষলতা হিসাবে পুনর্জন্ম গ্রহণ করে কুঠারের আঘাতে অথবা জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়ে তথা দগ্ধভূত হয়ে পূর্ব-কর্মফলের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবে। আর এ শাস্তিভোগ করাই হল নরক। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি ভাল বা পুণ্যের কাজ করে তাহলে মৃত্যুর পর তার আত্মাটি আরো ধনী, সুখী কিংবা রাজা-বাদশা হয়ে জন্মলাভ করবে। এ সুফল ভোগ করাটা হিন্দুদের দৃষ্টিতে স্বর্গ। এ সম্পর্কে উপনিষদে আছে- ‘‘পুন্যো বৈ পুন্যোন কর্মনা ভবতি, পাপ; পাপেন।’’ অর্থাৎ পুণ্যের দ্বারা পুণ্যলোক (স্বর্গাদি) লাভ হয়। পাপের দ্বারা পাপলোক (নরকাদি) প্রাপ্তি হয়।
. হিন্দু পন্ডিতগণ জন্মান্তরবাদের ধারণায় মনে করে, পরকাল বলতে কিছুই নেই; বরং মানুষ তার কৃতকর্মের ফল ভোগ করার জন্য বারবার এ দুনিয়াতে বিভিন্নরূপে, বিভিন্ন বেশে আবির্ভূত হয়ে থাকে। কোন মানুষ যদি অতিশয় ঘৃণিত কুকর্ম করে মারা যায় তাহলে তার আত্মাটি কুকুর-বিড়ালের দেহ ধারণ করে পরজন্মে জন্মগ্রহণ করতঃ অতিশয় ঘৃণিত জীবন যাপন করে মানুষের তিরস্কার ভোগ করবে। আবার এমনও পাপ কাজ আছে, যার কর্মফল ভোগ করার জন্য বৃক্ষলতা হিসাবে পুনর্জন্ম গ্রহণ করে কুঠারের আঘাতে অথবা জ্বালানিরূপে ব্যবহৃত হয়ে তথা দগ্ধভূত হয়ে পূর্ব-কর্মফলের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করবে। আর এ শাস্তিভোগ করাই হল নরক। পক্ষান্তরে কোন ব্যক্তি যদি ভাল বা পুণ্যের কাজ করে তাহলে মৃত্যুর পর তার আত্মাটি আরো ধনী, সুখী কিংবা রাজা-বাদশা হয়ে জন্মলাভ করবে। এ সুফল ভোগ করাটা হিন্দুদের দৃষ্টিতে স্বর্গ। এ সম্পর্কে উপনিষদে আছে- ‘‘পুন্যো বৈ পুন্যোন কর্মনা ভবতি, পাপ; পাপেন।’’ অর্থাৎ পুণ্যের দ্বারা পুণ্যলোক (স্বর্গাদি) লাভ হয়। পাপের দ্বারা পাপলোক (নরকাদি) প্রাপ্তি হয়।
২. জীবাত্মার শূণ্যে বিচরণঃ
হিন্দু সমাজে এক শ্রেণীর জন্মান্তরবাদী আছে, যারা প্রচলিত কুসংস্কার ত্যাগ করতে না পেরে মানবাত্মা যে মৃত্যুর পর সূক্ষ্ম দেহ ধারণ করে, তা স্বীকার করে বটে; তবে সাথে সাথে তারা আবার একথাও বলে যে, আত্মা একটা দেহ ত্যাগ করে বিচারণ করে। তখন তার অবস্থান কোথায়, কিরূপ থাকে, তা শ্রীমদ ভগবৎ গীতায় বর্ণিত আছে যে, ‘‘আকাশস্থো নিরালাম্বো বায়তুতো নিরাস্ত্রয়।’’ অর্থাৎ আত্মা প্রেতপুরিতে অবলম্বনহীন, নিরাশ্রয় রূপে শূন্যে ভেসে বেড়ায়। তারপর তা শিশিরের রূপ নিয়ে ঘাস, লতা-পাতা, ধান, যব, গম, পানীয়, মানুষ ও কীট-পতঙ্গ খেয়ে থাকে। এ সব খাদ্যের সারভাগ থেকেই শরীরে বীর্যের সৃষ্টি হয় এবং এ থেকেই কর্মানুসারে আত্মা, মানুষ, কীট-পতঙ্গরূপে পুনর্জন্ম লাভ করে এবং তার কৃতকর্মের ফলভোগ করে।
হিন্দু সমাজে এক শ্রেণীর জন্মান্তরবাদী আছে, যারা প্রচলিত কুসংস্কার ত্যাগ করতে না পেরে মানবাত্মা যে মৃত্যুর পর সূক্ষ্ম দেহ ধারণ করে, তা স্বীকার করে বটে; তবে সাথে সাথে তারা আবার একথাও বলে যে, আত্মা একটা দেহ ত্যাগ করে বিচারণ করে। তখন তার অবস্থান কোথায়, কিরূপ থাকে, তা শ্রীমদ ভগবৎ গীতায় বর্ণিত আছে যে, ‘‘আকাশস্থো নিরালাম্বো বায়তুতো নিরাস্ত্রয়।’’ অর্থাৎ আত্মা প্রেতপুরিতে অবলম্বনহীন, নিরাশ্রয় রূপে শূন্যে ভেসে বেড়ায়। তারপর তা শিশিরের রূপ নিয়ে ঘাস, লতা-পাতা, ধান, যব, গম, পানীয়, মানুষ ও কীট-পতঙ্গ খেয়ে থাকে। এ সব খাদ্যের সারভাগ থেকেই শরীরে বীর্যের সৃষ্টি হয় এবং এ থেকেই কর্মানুসারে আত্মা, মানুষ, কীট-পতঙ্গরূপে পুনর্জন্ম লাভ করে এবং তার কৃতকর্মের ফলভোগ করে।
৩. ঈশ্বরের সান্নিধ্য লাভঃ
অন্য এক শ্রেণীর জন্মান্তরবাদী আছে, যাদের ধারণা হল- মানুষ বহুজন্ম ও জন্মান্তরে নির্বাণ সাধনায় উন্নীত হয়ে আত্মাকে ঈশ্বরের সাথে মিলিত করে অনন্ত সুখ লাভে সক্ষম হয়। তাদের কামনা-বাসনার রিপুগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায় না; বরং সেগুলো আত্মার এক কোণে সুপ্ত হয়ে অলক্ষ্যে বিরাজ করে। ঈশ্বরের সান্নিধ্যে গিয়ে কিছুকাল অনন্ত ও অনাবিল সুখ-শান্তি ভোগ করার পর সে সুপ্ত রিপুগুলো আবার জাগ্রত হতে থাকে। কিছুকাল পর আত্মা ব্রহ্মত্বের নীচুস্তরে নেমে আসে এবং অধঃপতিত হয়ে আবার জন্মগ্রহণ করে।
অন্য এক শ্রেণীর জন্মান্তরবাদী আছে, যাদের ধারণা হল- মানুষ বহুজন্ম ও জন্মান্তরে নির্বাণ সাধনায় উন্নীত হয়ে আত্মাকে ঈশ্বরের সাথে মিলিত করে অনন্ত সুখ লাভে সক্ষম হয়। তাদের কামনা-বাসনার রিপুগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যায় না; বরং সেগুলো আত্মার এক কোণে সুপ্ত হয়ে অলক্ষ্যে বিরাজ করে। ঈশ্বরের সান্নিধ্যে গিয়ে কিছুকাল অনন্ত ও অনাবিল সুখ-শান্তি ভোগ করার পর সে সুপ্ত রিপুগুলো আবার জাগ্রত হতে থাকে। কিছুকাল পর আত্মা ব্রহ্মত্বের নীচুস্তরে নেমে আসে এবং অধঃপতিত হয়ে আবার জন্মগ্রহণ করে।
৪. কর্মফল অনুযায়ী পুনঃজন্মঃ
হিন্দু ধর্মে কর্মবাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে জন্মান্তরবাদের। যেকোন কর্মের মূল্যায়ন হয় তার ভবিষৎ ফলের প্রেক্ষিতে। আর এ ফল ভোগ হয় প্রধানত পরকালে তথা পুনঃজন্মে।কর্মবাদ অনুযায়ী মানুষকে তার কৃতকর্মের ফল অবশ্যই ভোগ করবে। এ কর্মবাদের উপর পুনঃজন্ম প্রতিষ্ঠিত। কর্মের ফলভোগ করার জন্যই দেহ ধারন করে,ইহলৌকিক ও পুনঃজন্ম গ্রহণ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।
হিন্দু ধর্মে কর্মবাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে জন্মান্তরবাদের। যেকোন কর্মের মূল্যায়ন হয় তার ভবিষৎ ফলের প্রেক্ষিতে। আর এ ফল ভোগ হয় প্রধানত পরকালে তথা পুনঃজন্মে।কর্মবাদ অনুযায়ী মানুষকে তার কৃতকর্মের ফল অবশ্যই ভোগ করবে। এ কর্মবাদের উপর পুনঃজন্ম প্রতিষ্ঠিত। কর্মের ফলভোগ করার জন্যই দেহ ধারন করে,ইহলৌকিক ও পুনঃজন্ম গ্রহণ করে এবং কৃতকর্মের ফল ভোগ করে।
৫. জীবাত্মার বিনাশ নেইঃ
হিন্দু ধর্মে জন্মান্তরবাদের বিশ্বাস হল জীবাত্মার কোন বিনাশ নেই।মৃত্যুর পর জীবাত্মা একদেহে হতে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয়।গীতায় বলা হয়েছে, যে মরেছে তাকে পুনরায় জন্মাতে হবে।
হিন্দু ধর্মে জন্মান্তরবাদের বিশ্বাস হল জীবাত্মার কোন বিনাশ নেই।মৃত্যুর পর জীবাত্মা একদেহে হতে অন্য দেহে স্থানান্তরিত হয়।গীতায় বলা হয়েছে, যে মরেছে তাকে পুনরায় জন্মাতে হবে।
৬. মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ীঃ
জন্মান্তরের এটি একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যে, জন্ম যার হয়েছে মৃত্যু তার একদিন হবেই। আর মৃত্যু যার হবে তারও একদিন জন্ম হবে। তাই মানুষের জন্ম ও মৃত্যু কোন কিছুই ক্ষণস্থায়ী নয়। যে জন্মগ্রহণ করবে তাকে মৃত্যুর জন্য আর যে মৃত্যুবরণ করবে তাকে পুনর্জন্মের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
জন্মান্তরের এটি একটি অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যে, জন্ম যার হয়েছে মৃত্যু তার একদিন হবেই। আর মৃত্যু যার হবে তারও একদিন জন্ম হবে। তাই মানুষের জন্ম ও মৃত্যু কোন কিছুই ক্ষণস্থায়ী নয়। যে জন্মগ্রহণ করবে তাকে মৃত্যুর জন্য আর যে মৃত্যুবরণ করবে তাকে পুনর্জন্মের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
৭. সৎকর্মের প্রতি উদ্বুদ্বঃ
হিন্দু ধর্ম মতে, মানুষের কর্মফল বিধাতার নিকট লিপিবদ্ব আছে,যে পর্যন্ত তার পাওনা শোধ না হয় সে পর্যন্ত মানুষের জন্মান্তর হতে থাকে। এ বিশ্বাসের কারনে সৎকর্ম করতে উদ্বুদ্ব হয়।কারণ ভালকর্মের জন্য ভাল ফল হয়।
হিন্দু ধর্ম মতে, মানুষের কর্মফল বিধাতার নিকট লিপিবদ্ব আছে,যে পর্যন্ত তার পাওনা শোধ না হয় সে পর্যন্ত মানুষের জন্মান্তর হতে থাকে। এ বিশ্বাসের কারনে সৎকর্ম করতে উদ্বুদ্ব হয়।কারণ ভালকর্মের জন্য ভাল ফল হয়।
৮. ভোগাকাংখাকে সংযত করাঃ
হিন্দু ধর্মে বলা হয়, আত্মা আর পরমাত্মা এক ও অভিন্ন।কিন্তু আত্মা যখন দেহের ভিতর প্রবেশ করে তখন তা লিপ্সা ও ভোগ-বিলাসে নিমত্ত হয়ে পড়ে।তাই সেই আত্মা আর কোনভাবেই মুক্তি অর্জন করতে পারে না। তাই ভোগাংখা থেকে সংযত রাখা জন্মাতরবাদের একটি কাজ।
হিন্দু ধর্মে বলা হয়, আত্মা আর পরমাত্মা এক ও অভিন্ন।কিন্তু আত্মা যখন দেহের ভিতর প্রবেশ করে তখন তা লিপ্সা ও ভোগ-বিলাসে নিমত্ত হয়ে পড়ে।তাই সেই আত্মা আর কোনভাবেই মুক্তি অর্জন করতে পারে না। তাই ভোগাংখা থেকে সংযত রাখা জন্মাতরবাদের একটি কাজ।
৯. মানব জন্মই কাম্যঃ
অপর একটি দল আছে, যাদের এ সম্পর্কীয় মতবাদ আরো উদ্ভট। তাদের মতে, একটি দুই সংখ্যা লিখে তার পরে একশ দশটি শূন্য যোগ করলে যত বছর হয় তাহল এক কল্প। এমনি আশি লক্ষ কল্প ইতর যোগিতে জন্ম নিয়ে জন্মান্তরে সৎকাজ করলে তবেই আত্মা দিব্জত্ব প্রাপ্ত হয়ে নির্বাণ লাভ করে মানুষরূপে পুনর্জন্ম লাভ করতে পারে।
অপর একটি দল আছে, যাদের এ সম্পর্কীয় মতবাদ আরো উদ্ভট। তাদের মতে, একটি দুই সংখ্যা লিখে তার পরে একশ দশটি শূন্য যোগ করলে যত বছর হয় তাহল এক কল্প। এমনি আশি লক্ষ কল্প ইতর যোগিতে জন্ম নিয়ে জন্মান্তরে সৎকাজ করলে তবেই আত্মা দিব্জত্ব প্রাপ্ত হয়ে নির্বাণ লাভ করে মানুষরূপে পুনর্জন্ম লাভ করতে পারে।
১০. মোক্ষলাভই উদ্দেশ্যঃ
কেউ কেউ গত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারেন। বিশেষ করে যারা মোক্ষ লাভ করেন তারা পরিপূর্ণভাবে স্মরণ করতে পারেন। বেদের মধ্যে কোন কোন অবতারের একাধিকবার জন্মলাভের বিষয় স্মরণে থাকার কথাও উল্লেখ আছে। আর বেদে আত্মার একাধিক মৃত্যুর কথা হয়েছে। অতএব পুনর্জন্ম স্বীকার না করলে একাধিকবার মৃত্যুর অর্থ হয় না। উপনিষদে যে মোক্ষ বা ব্রহ্মত্ব লাভের উল্লেখ আছে তাহল এ জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে চিরমুক্তি।
কেউ কেউ গত জন্মের কথা স্মরণ করতে পারেন। বিশেষ করে যারা মোক্ষ লাভ করেন তারা পরিপূর্ণভাবে স্মরণ করতে পারেন। বেদের মধ্যে কোন কোন অবতারের একাধিকবার জন্মলাভের বিষয় স্মরণে থাকার কথাও উল্লেখ আছে। আর বেদে আত্মার একাধিক মৃত্যুর কথা হয়েছে। অতএব পুনর্জন্ম স্বীকার না করলে একাধিকবার মৃত্যুর অর্থ হয় না। উপনিষদে যে মোক্ষ বা ব্রহ্মত্ব লাভের উল্লেখ আছে তাহল এ জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে চিরমুক্তি।
১১. পুনর্জন্মের
সমাপ্তিঃ
জন্মারবাদের দুর্বিচ্ছিন্ন এ চক্র থেকে মুক্তিলাভের উপায় হল জন্মান্তের নিরন্তন সাধনায় জীবাত্মাকে পরমাত্মায় সংস্থাপনের উপযোগী করে তোলা।এই আত্মাকে উপযোগী না করা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
জন্মারবাদের দুর্বিচ্ছিন্ন এ চক্র থেকে মুক্তিলাভের উপায় হল জন্মান্তের নিরন্তন সাধনায় জীবাত্মাকে পরমাত্মায় সংস্থাপনের উপযোগী করে তোলা।এই আত্মাকে উপযোগী না করা পর্যন্ত এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
উপসংহার
পরিশেষে বলা যায় যে, পুনর্জন্মবাদ হিন্দু ধর্মে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে
বিবেচিত হয়। বর্তমানে অনেক আধুনিক হিন্দুগণ অনেক ধ্যান-ধারনা থেকে দূরে সরে আসলেও
পুনর্জন্মবাদের ধারনাকে এখনও তারা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে থাকে। তারা শুধুমাত্র এই
কারণে সৎ কর্ম সাধন করে থাকে।
যদি পুনজন্ম হয় তাহলে কেন ভগবান স্বর্গ ও নরক তৈরি করছেন সর্গ সঠিক আছে যেহেতু মানুষের বার বার জন্মের মাধ্যমেসে সর্গ লাভ করে তাহলে কেন ভগবান নরক তৈরি করেছে আর পুনজন্ম যদি হয় তাহলে তু মানুষ ভাল হওয়ার কথা কিন্তু না দিন দিন পাপের কাজ বাড়ছে তাহলে কি পুনজন্মের আরও মানুষ বেখবর আর পুনজন্ম যদি হয় তাহলে তো একদিন সবাই ভাল হওয়ার কথা কিন্তু তা হচ্ছে না
ReplyDeleteMail me @ sohag3arya@gmail.com
Deleteস্বর্গ তারা পায় যারা একটু হলেও পূন্যকর্ম করেছে। নরক নররূপী পিশাচদের জন্য, পুরাই অধার্মিকের জন্য
ReplyDeleteএই নিবন্ধে অনেক ভুলভালরকম তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে জন্মান্তরবাদ ও কর্মবাদ নিয়ে।
ReplyDelete