আল্লাহ শব্দের শাব্দিক বিশ্লেষণ নিয়ে মতভেদ
রয়েছে।তার মধ্যে বিভিন্ন গ্রহণযোগ্য মতামত হলঃ
১.
আল্লাহ শব্দটি সৃষ্টিকর্তার নামসমূহের ভিতর সবচেয়ে মহত্ত্বর এবং যাবতীয়
গুণাবলীর সম্মিলিত রুপ। এ নামটি আল্লাহ ছাড়া আর কারও জন্যে প্রযোজ্য নয়। কারণ
আল্লাহ এক এবং তার কোন শরীক নেই। মোট কথা আল্লাহ এমন এক সত্ত্বার নাম যে সত্ত্বা
পালনকর্তার সকলে গুণের এক অসাধারণ প্রকাশবাচল।তিনি অদ্বিতীয় ও নজিরবিহীন।
২. আল্লাহ শব্দটির প্রথম রুপ ছিল ইলাহু।
ইলাহুর হামযা বাদ দিয়ে আলিফ যুক্ত করা হয়েছে।
৩. লাহইয়া থেকে আল্লাহ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ
হল উচ্চ বা শ্রেষ্ঠ হওয়া। আল্লাহ তায়ালা সকলের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। তাই তাআর এ মতবাদ
দিয়েছেন।
৪. আল্লাহ শব্দটি লাম ওয়া হা হতে এসেছে। এর
অর্থ হল গোপন করা বা পর্দার আড়ালে থাকা। আল্লাহ যেহেতু সৃষ্টির আড়ালে থাকেন তাই
তার নাম আল্লাহ হয়েছে।
৫. আল্লাহ শব্দটি হামযা লাম হা হতে এসেছে। এর
অর্থ হল হতবাক বা হয়রান হয়ে যাওয়া। যেহেতু স্রষ্টা সম্পর্কে চিন্তা-গবেষণা করলে
পরে মানুষ হয়রান ও হতবাক হয়ে যাবে তাই এর নামকরণ করা হয়েছে আল্লাহ।
৬. আল্লাহ শব্দটি ওয়ালাহুন হতে এসেছে। এখানে
ওয়াকে বদলিয়ে আল্লাহু করা হয়েছে। এখানে এর অর্থ হল নিজেকে আত্মসমর্পণ করা এবং
আশ্রয় গ্রহণ করা।
No comments:
Post a Comment