দলীলপত্র,বই,সাময়িকী,সংবাদপত্র এবং অন্যান্য মৌখিক বিষয় এর বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ হল বিষয়বস্তু
বিশ্লেষণ।এই ধারাটি প্রথমে কেবল গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার ভিতর সীমাবদ্ব ছিল।
কিন্তু আস্তে আস্তে তার প্রভাব অন্যান্য বিষয়াবলীর উপরেও পড়তে শুরু করে।
এই বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা অনেকটা অস্পষ্ট ও বিক্ষিপ্ত। তবে যে কয়টি
সংজ্ঞা গ্রহণযোগ্য তা হলঃ
বার্নাড বেরেলসনের মতে-
গণসংযোগের মাধ্যমে প্রকাশিত বিষয়ের রীতিবিদ্ব,বস্তুনিরপেক্ষ
ও সংখ্যাতাত্ত্বিক বর্ণনা হল বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ।
ডি.পি কার্টরাইট বলেন-
বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ বৈচিত্রপূর্ণ সমস্যাবলী অনুসন্ধানের এমন
এক বহুমুখী পদ্বতি যেখানে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমের বিষয়বস্তু ব্যবহার করে একটি
সিদ্বান্তে উপনীত হওয়া যায়।
বৈশিষ্ট্য
১। এটি একটি আধুনিক কৌশল।
২। সামাজিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা হয়।
৩। যোগাযোগের বিষয়বস্তু চিহ্নিতকরণ।
৪। যোগাযোগের বিষয়বস্তুর মানোন্নয়ন চিহ্নিতকরণ।
৫। এই পদ্বতি অনুকল্প তৈরী ও যাচাইয়ের জন্যে পরোক্ষভাবে
সহায়তা করে থাকে।
উদ্দেশ্য
১. যোগাযোগের বিষয়বস্তুর ধারা চিহ্নিতকরণ।
২. যোগাযোগের বিষয়বস্তুর আন্তর্জাতিক পার্থক্য তুলে ধরা।
৩. বিভিন্ন যোগাযোগের মাধ্যম ও তার স্তরসমূহের ভিতর তুলনা।
৪. যোগাযোগের মান নির্ণয় করা ও তার প্রয়োগ করা।
৫। গঠনযোগ্যতা পরিমাপ করা।
৬। উন্নতমানের ফিচার বের করা।
৭। রাজনৈতিক ও সামরিক সংবাদ তথ্য নিরাপদ রাখা।
৮। মনোযোগের লক্ষ্য স্থির করা।
৯। যোগাযোগের বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণগত প্রতিক্রিয়া
বর্ণনা করা।
ধাপসমূহ
১।বিষয় নির্বাচনঃ
বিষয়বস্তু
বিশ্লেষণ শুরু করার সময়ে প্রয়োজনীয় বিষয় নির্বাচন করতে হবে।যেমনঃ গ্রামীণ
দারিদ্র্য সম্পর্কে যদি কেউ জানতে চায় তাহলে তাকে এর জন্যে প্রথমেই একটি গ্রাম
নির্বাচন করতে হবে।
২। তথ্য সংগ্রহের উৎস ও মাধ্যম নির্ধারণ করাঃ
এই কারণে একজন গবেষককে প্রাথমিক উৎসসমূহ তথা কোন ব্যক্তির
সাক্ষাৎকার হোক কিংবা যেকোন ধরনের পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তা হতে পারে। অন্যদিকে তা
মাধ্যমিকভাবে হতে পারে যেকোন ধরনের ডকুমেন্ট, রেকর্ড, সাহিত্য, ব্যক্তিগত
লেখা ইত্যাদি থেকে। নির্ভুল তথ্য সংগ্রহের জন্যে তা উৎস ও উপকরণ থেকে অত্যন্ত
সতর্কতার সাথে তা সংগ্রহ করতে হবে।
৩। তথ্য সংগ্রহ,বিশ্লেষণ এবং সুপারিশমালা প্রণয়ণঃ
এই কাজটি কৌশলগত ও বর্ণনাত্মক উপায়ে বের করতে হবে।
সুবিধা
১। সহজ একটি পদ্বতি
২। অর্থ ও সময় কম লাগে।
৩। একজন বিশ্লেষক তা করে দিতে পারে।
৪। পুনরাবৃত্তি করা যায়।
৫। বিষয়বস্তু বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা যায়।
৬। অধিক হারে উপকরণ ও যন্ত্রের প্রয়োজন হয় না
৭। ঐতিহাসিক পদ্বতির জন্যে উপযোগী
৮। পক্ষপাতের অবস্থান কম থাকে।
অসুবিধা
১। কম বিশ্লেষণ
২। প্রাপ্ত ফলাফল সম্পর্কে বিতর্ক
৩। স্বাধীন ও নমনীয়তার মাত্রা কম থাকে
৪। সীমাবদ্ব ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করা
No comments:
Post a Comment