হামদ,
মাদ্হ
ও শুকর শব্দের অর্থ হল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। যদিও শব্দত্রয়ের ভিতর কিছুটা সুক্ষ্ণ
পার্থক্য রয়েছে। এই শব্দগুলোর পরিচয় নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
শাব্দিক বিশ্লেষণ
হামদ হল বাবে সামিআর মাসদার। যার অর্থ হল
উত্তম কাজ ও বিষয়ের প্রশংসা।
শুকর শব্দটি বাবে নাসার এর মাসদার যার অর্থ হল
কারো অনুগ্রহের পরিবর্তে প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
মাদহ
বাবে ফাতহুনের মাসদার। যার অর্থ হল প্রশংসা।
পারিভাষিক পার্থক্য
হামদ হল সেই অবস্থায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশের নাম
যার দ্বারা নিআমত পাওয়া হোক বা না হোক সর্বাবস্থায় তার প্রশংসা করা হয়।
অনুগ্রহের মাধ্যমে শরীরের অংগ-প্রতংগ, মুখ ও অন্তরের মাধ্যমে যে প্রশংসা করা হয় তাহল
শুকর।
আর মাদ্হ হল এমন ধরনের প্রশংসা যার দ্বারা কোন
ব্যক্তির গুণের প্রশংসা হয়ে থাকে।
প্রকাশের পার্থক্য
হামদ ইচ্ছাকৃতভাবে সৌন্দর্যের প্রশংসা যবান
দিয়ে করা হয়।
আর শুকর আর মাদ ইচ্ছাকৃত ও অনিচ্ছাকৃত
দুইভাবেই হতে পার সৌন্দর্য, শক্তি ও বীরত্বের
দ্বারা।
হামদ ও শুকরের পার্থক্য
কোন ক্ষেত্র হামদ শুকরের তুলনায় ব্যপক আবার
কোথাও শুকরের তুলনায় হামদ অত্যন্ত ব্যপক। হামদ মূলত নিআমত পাওয়া অবস্থায় হোক বা না
হোক উভয় অবস্থার ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য। আর শুকর শুধুমাত্র অনুগ্রহের সাথে
সম্পর্কিত। তাহলে আমরা সেক্ষেত্রে লক্ষ্য করছি হামদ হল আম আর শুকর হল খাস।
কিন্তু হামদ আবার প্রয়োগ ক্ষেত্রে খাস আর শুকর
আম। কারণ হামদে কেবল ভাষার মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পায় আর শুকরে কাজ, বিশ্বাস ও যবান তিনভাবেই করা যায়। তাই এখানে
শুকর হল আম এবং তার ব্যপকতা বেশি।
হামদ ও মাদ্হ ভিতর পার্থক্য
ইবনুল খাতীব বলেন হামদ ও মাদের ভিতর চারটি
পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। যা হলঃ
১। মাদ্হ জীবিত ও মৃত উভয়ের জন্যে প্রযোজ্য আর
হামদ কেবল জীবিতদের জন্যে।
২। মাদ্হ ইহাসানের পূর্বে ও পরে প্রযোজ্য।আর হাম
কেবল ইহসানের পরে প্রযোজ্য।
৩। মাদ্হ কখনও নিষিদ্ব আর হামদ কখন নির্দেশিত তা
কখনও নিষিদ্ব হতে পারে না।
দলীল
মাদ্হ যে নিষিদ্ব সে ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ(সাঃ)
ইরশাদ করেন,
তোমরা প্রশংসাকারীর মুখে মাটি ছুড়ে মার।
অপরদিকে হামদের ব্যাপারে হাদীসে এসেছে যে,
যে মানুষের প্রশংসা করে না সে আল্লাহরও
প্রশংসা করে না।
৪। হামদ নির্দিষ্ঠ গুণাবলীর বিপরীতে হয় আর মাদ
ব্যপক হয়। তা অনির্দিষ্ট গুণাবলীর জন্যে।
No comments:
Post a Comment