উদ্দেশ্যমূলকভাবে কথোপকথন হল সাক্ষাৎকার। মুখোমুখি হয়ে
দুইজন ব্যক্তি যদি কোন উত্তর খুঁজে বের করে তাহলে তাই হল সাক্ষাৎকার। বিভি মুর
সংক্ষেপে গবেষণার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত উদ্দেশ্যবহ কথা বলাবলি চিহ্নিত করেছেন।
ফ্রেড এন কেরলিংনার বলেন-
সাক্ষাৎকার হল মুখোমুখী একটি
আন্তঃব্যক্তিক পরিস্থিতি যেখানে এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তির সাথে গবেষণার সাথে
সংগতিপূর্ণভাবে সজ্জিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।
এই ধরনের উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্যে ব্যক্তি সাক্ষাৎকার
কিংবা টেলিফোন সাক্ষাৎকার হতে পারে। তা মাঠপর্যায়ে যেয়েও একজন গবেষক তা সংগ্রহ
করতে পারেন। তা সিডিউলের মাধ্যমেও হতে পারে।
এখানে এই গবেষণায় সাক্ষাৎকার কথা বলার চেয়েও অধিক। এখানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে
সাক্ষাৎ করাকে বুঝায়।প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহে তা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই গবেষণার
দ্বারা ব্যক্তিত্ব,চিন্তাধারা, দৃষ্টিভঙ্গি,আশা-আকাংখা ইত্যাদি বিষয়ে ধারনা লাভ করা যায়।
বৈশিষ্ট্য
১। সহজলভ্যতা
২। অবগতিপূর্ণ পরিবেশ
৩। উদ্বুদ্বকরণ/প্রেষণা
সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীর যোগ্যতা
১। সততা
২। আগ্রহী
৩। সঠিকতা
৪। ধৈর্য্য ও স্থিরতা
৫। সামঞ্জস্যের বিধান করা
৬। বুদ্বিমত্তা ও শিক্ষা থাকা
৭। বিশেষ দক্ষতা
৮। উপযুক্ত প্রস্তুতি
সাক্ষাৎকারের গ্রহণের ধাপ
১। সময় নির্ধারণ
২। তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ
৩। প্রশ্নমালা তৈরী
৪। তথ্য বিশ্লেষণ
সতর্কতা
১। প্রশ্ন কররার উদ্দেশ্য ঠিক না করে যদি উদ্দেশ্যবিহীনভাবে
প্রশ্ন করা হয় তাহলে সেখানে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এখানে সঠিকভাবে প্রশ্ন
করার মাধ্যমে তা আদায় করতে হবে।
২। যার কাছে থেকে তথ্য আদায় করতে হবে তাকে সঠিকভাবে বুঝানোর
মানসিকতা থাকতে হবে।
৩। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারীকে
প্রেরণার মাধ্যমে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীকে বিশেষভাবে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।
৪। লিপিবদ্ব ঠিকমত করতে হবে।সেখানে যেন কোন ধরনের
ভুল-ভ্রান্তি না হয় সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে।
সাক্ষাৎকারের প্রকারভেদ
সাক্ষাৎকার মূলত তিনপ্রকারের হয়ে থাকে যা হলঃ
কাঠামোবদ্ব
লিখিতভাবে প্রশ্ন করার পদ্বতি হল কাঠামোবদ্ব অকাঠামোবদ্ব
অলিখিতভাবে প্রশ্ন করার পদ্বতি হল অকাঠামোবদ্ব
আধা কাঠামোবদ্ব
এখানে প্রশ্নকারীর কাছে প্রশ্ন থাকে কিন্তু তা উত্তরদাতার
কাছে দেওয়া হয় না। প্রশ্নকারী ঐখান থেকেই তার কাছে থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবে।
এই সাক্ষাৎকার রেকর্ড করার আদর্শ পদ্বতিও ব্যবহার করা হয়
না।
সুবিধা
১। এই পদ্বতিতে অনেক বেশী ও ব্যপকতার তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
২। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী তার দক্ষতার সাথে প্রতিবন্ধকতাকে
কাটিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করতে পারে।
৩। উত্তরদাতার ভাষা ও শিক্ষার স্তরের সাথে খাপ খায়িয়ে
প্রশ্ন করা যেতে পারে।
৪। উত্তরদাতার ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বাড়তি তথ্য
সংগ্রহ করা যায়।যেমন তার মনোভাব, দৃষ্টিভঙ্গি,বিশ্বাস ইত্যাদি বিষয়াদী।
৫। উত্তরদাতার উত্তর ও উত্তরদানের পদ্বতি সম্পর্কে ধারনা
লাভ করা যায়।
৬। প্রশ্নের ধারাবাহিকতা রক্ষা
৭। অধিকতর নমনীয়তা
৮। উচ্চ হারে উত্তর লাভ
৯। অধিকতর জটিল প্রশ্নপত্র ব্যবহার
অসুবিধা
১. এটি একটি ব্যয়বহুল পদ্বতি
২. পক্ষপাতমূলক আচরণের সম্ভাবনা থাকে।
৩. অনেক সময় উত্তর গ্রহণকারীকে যথা সময়ে পাওয়া নাও যেতে
পারে।
৪। উত্তরদাতা কোন কোন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক
পারিপার্শ্বিকতার কথা চিন্তা করে সঠিক ও সত্য তথ্য দিতে সংকোচ বোধ করে থাকেন। তাই
সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ করা যায় না।
৫। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রকৃত প্রাপ্ত উপাত্তের সাথে
সত্য-মিথ্যার মিশ্রণ ঘটাতে পারে। তাই অনেক সময়ে সঠিক উপাত্তসমূহ পাওয়া যায় না।
৬। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী ব্যক্তিকে দক্ষ ও পারদর্শী হতে
হবে। অন্যথায় তা ব্যহত হবে।
৭। এটি একটি সময় সাপেক্ষ পদ্বতি
৮। পক্ষপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
No comments:
Post a Comment