Wednesday 21 May 2014

প্রশ্নঃ গবেষকদের গুণাবলী নিয়ে লিখ।



১।  গবেষণা একটি সময়-সাপেক্ষ,ব্যয়-বহুল এবং শ্রমসাপেক্ষ বিষয়।এরজন্যে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়।তাই গবেষণার জন্য দরকার ধৈর্য্য ও ধীরস্থির মনোভাব।গবেষণার কাজ ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে করতে হবে। এরজন্যে মুহাম্মদ আত-তুনজী বলেন, ধৈর্য্য হল সর্বপ্রথম গুণ যার সাথে গবেষকদের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত হওয়া উচিৎ। ধৈর্য্য ছাড়া কো জটিল শব্দের মর্মার্থ সম্পর্কে গবেষণা করতে সক্ষম নয় এমন কি তা কবিতার পংকিও নয়।


২। গবেষককে হতে হবে সাহসী ও নিরপেক্ষ। গবেষণার তথ্য যদি সমাজের প্রচলিত নিয়মের বাহিরে যায় তাহলেও তা প্রকাশে সাহস থাকা।তাক সকল ধরনের আগেকবর্জিতের মাধ্যমে কাজ সম্পাদন করতে হবে।

৩। সিদ্বান্ত গ্রহণে সতর্কতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।এক্ষেত্রে তাকে তার স্বীয় খেয়াল-খুশীকে পরিত্যাগ করে তাকে সত্যের উপর সকলকিছুর উপর মতামত ব্যক্ত করার মত দৃঢ়তা থাকতে হবে। এখানে কোন ধরনের পক্ষপাতমূলক আচরণ গ্রহণ করা যাবে না।  এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আত-তুনজী বলেন, গবেষকদের যেমন নিজদের খেয়াল খুশি থেকে পবিত্র রাখা তেমনিভাবে তাকে পর্যালোচনার জন্যে তার প্রবৃত্তির অনুসরণ করা যাবে না।

৪। সংগৃহীত তত্ত্বের সঠিক যাচাই-বাছাই এবং এরপর তার যথাযথ প্রয়োগ।

৫। গবেষককে বিপুল কল্পনাশক্তি এবং সৃজনশীল চিন্তার অধিকারী হতে হবে।

৬। গবেষকদের চিন্তাকে সুসজ্জিত করতে হবে।

৭। কারও বই বা প্রবন্ধ থেকে উদ্বৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমানত রক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ যার মাধ্যমে তথ্য যোগার করা হবে তার উদ্বৃতি পেশ  করতে হবে অথবা তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ তুনজী বলেন,

গবেষকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল আমানত,সততা। আমানতের সাথে গবেষক সাহিত্যিক, পণ্ডিত, মনীষীগণের মতামত উদ্বৃতি গ্রহ্ণ করার সময় মূল বক্তার প্রতি সম্পর্কিত করবে। এমন অনেক সময় দেখা যায় যে, অনেকে কোন আলিমের বক্তব্য দেওয়ার পরে তা নিজের  উদ্বৃতি বলে  চালিয়ে যায়। 

৮। গবেষণা পর্যবেক্ষণযোগ্য অভিজ্ঞতা বা পরীক্ষালব্দ্ব সাক্ষ্যের উপর প্রতিষ্ঠিত এবং এর জন্য প্রয়োজন নির্ভুল পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা।এর জন্যে দরকার দক্ষতা।

৯। গবেষণা হবে ধারাবাহিক ও সুশৃংখল।তাই গবেষককে সুশৃংখল ও ধারাবাহিকভাবে কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে। মুহাম্মদ আত-তুনজী বলেন, গবেষকদের একটি প্রিয়তম গুণ হল সুক্ষ্ণতার সাথা কাজ করা। এতে প্রমাণিত হয় যে, গবেষক নিজের গবেষণায় সূক্ষ্ণতার সাথে কাজ করছেন বা পর্যালোচনায় সুদৃঢ়তা অর্জন করেছেন।

১০। উৎসাহ ও উদ্দীপনা থাকতে হবে।

১১। নস বা মূল ইবারত গভীরভাবে অধ্যয়ন করে তা উপলব্দ্বি করতে হবে অপরের মতামত সম্পর্কে অবগতি লাভ করতে হবে। সঠিকভাবে তা উপলব্দ্বি না করে অন্যের গ্রন্থ থেকে তা তুলে দিলে তা হবে বিভ্রান্তিকর।

১২। নতুন জ্ঞানের সন্ধান দিতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে তা গবেষণা হবে না। ড. মুহাম্মদ আত-তুনজী বলেন,

গবেষণার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল যে গবেষণাটি নতুন, ভইনব থেকে হবে যে বিষয়ে ইতিপূর্বে গবেষণা হয় নাই।

তবে গবেষণা যদি এমন হয় যে, তার দ্বারা আরও নতুন কিছু আবিষ্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর তার দ্বারা পূর্ববর্তী গবেষণার ফলাফল ভুল হিসেবে প্রমাণিত হয় তাহলে সেই গবেষণাটি ফলপ্রসূ হবে।

তাই সকলের মতামত হুবুহু তুলে ধরা একটি অন্যায়মূলক কাজ হবে। তা একেবারেই পরিহার করে চলতে হবে।

No comments:

Post a Comment

৩৮ তম বিসিএস এর রেজাল্ট

৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ কথা নিশ্চিত করেন। ...