Wednesday, 18 September 2013

প্রশ্নঃ ইসলামী রাজনীতি নিয়ে বর্তমান ভাবনা কি কি আলোচনা কর। অথবা ইসলামী রাজনীতি কি সমর্থনযোগ্য নাকি নয় তা নিয়ে আলোচনা কর।অথবা ইসলাম ও রাজণীতি সম্পর্কে তোমার ধারনা কি? অথবা ইসলামে রাজনীতি আছে কি নাই তা মূল্যায়ন কর।


ভূমিকা
আল্লাহ সুবাহানাওতায়ালা বলেন,
আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না।  [মায়িদাঃ৪৯]
আজকের বিশ্বের মানুষ অগণিত সমস্যায় জর্জরিত যা মানুষের জীবনকে করে তুলেছে একাবারে দুর্বিষহ।মানুষের এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বহু মতবাদ যার ভিতর পুজিবাদ,ধর্মনিরপেক্ষতা,সমাজতন্ত্র,বস্তুবাদ,বিবর্তনবাদ,গণতন্ত্র,জাতীয়বাদ অন্যতম। কিন্তু এর কোনটিও আজ অবধি মানুষকে পরিপূর্ণভাবে শান্তি দিতে পারে নাই।কিন্তু   ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবন বিধান যা মানুষের জীবনের প্রতিটি কার্যকলাপের সাথে ওতো-প্রোতভাবে জড়িত।ইসলামে যেমন রয়েছে মানুষের ব্যক্তিগর অধিকার,পারিবারিক অধিকার,সামাজিক অধিকার নিশ্চিত করেছে তদ্রুপ তা নিশ্চিত করেছে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার।যুগে যুগে ইসলামই মানব জাতিকে মুক্তির সন্ধান দিয়েছে।হযরত আদম(আঃ)থেকে শুরু করে মুহাম্মদ(সাঃ) পর্যন্ত সকল আম্বিয়া কিরামই আল্লাহর প্রদত্ত ইসলামী মূল্যবোধকে মানব জীবনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।  ইসলামে রাজনীতির প্রভাব কতটুকু তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
ইসলামে রাজনীতি আছে কি নাই?
ইসলাম ধর্ম আদৌ রাজনীতি আছে কি নাই সেই প্রশ্নে আজ মুসলমানগণ দ্বিধাবিভক্ত।মোটামুটিভাবে ইসলামী রাজনীতি প্রশ্নে মুসলমানদের প্রধান দুইটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়।একটি দল বলে থাকে যে,ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই এবং অপর একটি দল বলে যে তা আছে।তাদের বক্তব্যসমূহ নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
ধর্ম রাজনীতি বিষয়ে বিরোধী পক্ষের বক্তব্য
অনেকে বলে থাকেন যে ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আবার কেউ বলে থাকেন যে,ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন না।আসলে যারা বলে যে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করবেন না তারা প্রকৃতপক্ষে বুঝাতে চায় যে, ইসলাম নিয়ে কেউ রাজনীতি করবেন না।কারন অন্য সকল ধর্ম কেবল মাত্র ধর্মীয় কিছু আনুষ্ঠানিকতার ভিতর সীমাবদ্ব থাকে।যেমন হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ কেবলমাত্র তাদের ধর্মীয় উৎসবের সময় কিছু ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করে আবার খ্রিষ্টানগণ সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ কেবলমাত্র রবিবার গীর্জায় গমন করে আবার ইয়াহূদীগণ কেবলমাত্র শনিবার তাদের উপসানালয়ে গমন করে।তারা তাদের মানবীয় আইন এবং জাগতিক আইন নিয়ে চলে।তাই কোন কোন ধর্মে উত্তরাধিকার আইন নেই।তাদের আবার রাষ্ট্রীয় আইন নেই। তারা একইভাবে মনে করে থাকে যে ইসলাম কেবলমাত্র নামায,রোযা,হাজ্জ,যাকাতের ভিতর সীমাবদ্ব। আবার তাদের কেউ কেউ মনে করে থাকেন যে,ইসলামে যেসকল আইন-কানূন আছে তা অপ্রতুল।তা দিয়ে এই যুগে কোনকিছুই বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
 ধর্ম রাজনীতি বিষয়ে ধর্মতাত্ত্বিকদের অভিমত
যারা বলে থাকে ইসলামে রাজনীতি আছে তাদের যুক্তিসমূহ দলীলসহকারে নিম্নে তুলে ধরা হলঃ
১. স্বভাবজাত ধর্মঃ ইসলাম হল স্বভাব ধর্ম অর্থাৎ ফিতরাতের ধর্ম যা কখনও পরিবর্তন হয় না।স্বভাব কখনও পরিবর্তন হয় না। পানির যেমন ধর্ম তা গড়িয়ে পড়বে তেমনিভাবে চুম্বকের ধর্ম তা আকর্ষন করবে।যদি পানি গড়িয়ে না পড়ে তাহলে তা হয় বরফ অথবা বাষ্প হবে আর যদি চুম্বক যদি আকর্ষন না করে তাহলে তা চুম্বক থাকে না তা হয়ে যায় লোহা।মানুষের সবকাজ ধর্মের অন্তর্ভূক্ত।হয়তো তার কোন কাজ ধর্মে পক্ষে হচ্ছে আবার কোন কাজ ধর্ম বিরোধী হচ্ছে।মানুষের কাজ মানেই হল ধর্ম।ইসলাম বলে দিয়েছে যে কোন কাজটা ঠিক আর কোন কাজটা ভুল।যদি সে ভুল কাজ করে তাহলে এরজন্য সে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি থাকবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ ইরশাদ করেন, মানুষকে প্রত্যকটি কাজের জন্য হিসাব দিতে হবে। তার বিবেকের কাছে দায়বদ্ব থাকবে।কাজেই রাজনীতি যেহেতু মানুষের জীবন বহির্ভূত নয় যেমন তদ্রুপ তা ইসলাম বহির্ভূত নয়।
২.সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠাঃ ইসলামী রাজনীতির অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এক আল্লাহ পাকের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করা।কুরআনে বলা হয়েছে,
আকাশ ও পৃথিবীর সর্বময় কর্তৃত্ব তারই। [হাদীদঃ২]
হুকুম তো আল্লাহর।  [আনআনঃ৫৭]
৩.ইসলামের পরিপূর্ণতাঃ  মানুষের সামগ্রিক জীবন হল ইসলাম।একটি কথা ইদানীং প্রায় বলা হয় যে, ইসলাম একটি পূর্ণাংগ জীবনব্যবস্থা।কারণ আল্লাহ কুরআনে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, আজকের দিনে তোমাদের জন্য দ্বীনকে পরিপূর্ণ করা হল এবং তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ পূর্ণ করা হল এবং ইসলামকে জীবনব্যবস্থা হিসেবে মনোনীত করা হল। [মায়িদাঃ৩] কিন্তু এখানে জীবন বলতে শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনকে বুঝানো হচ্ছে।কিন্তু ইসলাম শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনের জন্য নয় বরং তা দুনিয়া এবং আখিরাত দুই জীবনের জন্য প্রযোজ্য।তাই বলা যেতে পারে যে,ইসলাম দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য একটি পূর্ণাংগ জীবনব্যবস্থা।এটি একটি স্বভাব ধর্ম।এই ধর্মটির ভিতর সবকিছু আছে যা অন্যান্য ধর্মের ভিতর নেই।তাই রাষ্ট্র চলছে জাগতিক আইন দ্বারা আবার সমাজ চলছে সমাজের রীতি-নীতি রসম দ্বারা আর ব্যক্তি চলছে তার নিজস্ব বিবেক দ্বারা।কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, এসকল বিষয়সমূহ কি ইসলাম গ্রহণ করে?উত্তর হল না তা করে না।কারন ইসলাম বলে যে ঐ সমস্ত বিষয়াবলী গ্রহণ করা যাবে যদি তা ঠিক না ভুল তা যাচাই করা হয়।তা যাচাই করতে হবে কুরআনের দ্বারা।কুরআনের অপর নাম হল ফুরকান যার অর্থ হল সত্য মিথ্যার প্রভেদসৃষ্টিকারী।কুরআন,ইসলাম কিংবা আদর্শ যদি তাকে সমর্থন করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে আর যদি তা কুরআন-হাদীস অনুযায়ী না হয় তাহলে তা বর্জনীয় হবে।তাই ইসলাম থেকে রাজনীতিকে আলাদা করার কোন অবকাশ নেই।একটি বিধান গ্রহণ করা যাবে অন্যটি যাবে না তা একেবারে ভুল।কারন আল্লাহ পাক বলেন, তবে কি তোমরা গ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর এবং অংশবিশেষে অবিশ্বাস কর? তাদের এরূপ করে পার্থিব জীবনে দূগর্তি ছাড়া তাদের আর কোনই পথ নেই। কিয়ামতের দিন তাদের কঠোরতম শাস্তির দিকে পৌঁছে দেয়া হবে। [বাকারাঃ৮৫]
অর্থাৎ, যারা এই কথা বিশ্বাস করে যে, ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই তাদের অবস্থা এমন যে তারা কুরআনে উপরোক্ত আয়াতসমূ অস্বীকার করে।ইসলামের বাস্তবায়ন কেবলমাত্র  মসজিদ,মাদ্রাসা,রোযা,যাকাত,হাজ্জ,নামাযের ভিতর নয়।বরং এর বাস্তবায়ন মানুষের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে।যে ইসলামে অবশ্যই রাজনীতি আছে,সেই সাথে আরও আছে রাষ্ট্রনীতি,বিচারব্যবস্থা। আল্লাহ বলেন, আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা করার জন্য। [নহলঃ৮৯]
৪.বহু পূর্ব হতে বিরাজমানঃ যারা মনে করে থাকে যে ইসলামে রাজনীতির কোন স্থান নেই তারা মনে করে যে এই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ধর্মের দ্বারা।কিন্তু তাদের ধারন ভুল।কারন ইসলামে রাজনীতি আছে।এই শ্রেনীর লোকেরা মনে করে থাকেন যে, এই পৃথিবীতে সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে ধর্মের দ্বারা।অসভ্য সমাজ থেকে সভ্য সমেজে বিবর্তন এসেছে ধর্মের মাধ্যমে।কিন্তু ইসলাম দাবী করে যে, না এ ধরনের ধারনা সম্পূর্ণরুপে ভুল।কারন ধর্ম তথা ইসলাম এসেছে স্বয়ং প্রথম মানব হযরত আদম(আঃ) থেকে এবং সেই সময় থেকে রাজনীতি শুরু হয়।পরবর্তীতে হয়তো একটি বিশেষ শ্রেনীর লোক এখানে থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে।তাই তারা ধর্মহীন এবং অসভ্য জীবন-যাপন করছে।ধর্মভিত্তিক শাসমব্যবস্থা আজ নতুন কোন বিষয় নয়।এটা অনেক আগে থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে।আদি আসমানী কিতাব তথা তাওরাতেও ধর্মভিত্তিক শাসনব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থার কথা জানা যায়।তা স্বয়ং কুরআন মাজীদে উল্লেখ করা হয়েছে।তাই আল্লাহ বলেন, আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহ্র আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চক্ষুর বিনিময়ে চক্ষু, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত এবং যখম সমূহের বিনিময়ে সমান যখম। অতঃপর যে ক্ষমা করে, সে গোনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। যেসব লোক আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।  [মায়িদাঃ৪৪-৪৫]
 তদ্রুপ ইঞ্জীলেও একই কথা বলা হয়েছে।আল্লাহ বলেন, আমি তাদের পেছনে মরিয়ম তনয় ঈসাকে প্রেরণ করেছি। তিনি পূর্ববর্তী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়নকারী ছিলেন। আমি তাঁকে ইঞ্জিল প্রদান করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। এটি পূর্ববতী গ্রন্থ তওরাতের সত্যায়ন করে পথ প্রদর্শন করে এবং এটি খোদাভীরুদের জন্যে হেদায়েত উপদেশ বানী। ইঞ্জিলের অধিকারীদের উচিত, আল্লাহ্ তাতে যা অবতীর্ণ করেছেন। তদানুযায়ী ফয়সালা করা। যারা আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী। [মায়িদাঃ৪৬-৪৭]
এসকল আয়াতসমূহ এই প্রমাণ করে যে, ইসলাম আবির্ভাবের পূর্ব হতে অনেক আগেই অন্যসকল ধর্মে শাসনব্যবস্থা ও আইন-নীতি বিদ্যমান ছিল।ইসলাম তার ব্যতিক্রম নয়।ইসলাম এসে পূর্বের সকল বিধানসমূহ সত্যায়ন করেছে।তাই আল্লাহ বলেন,
 আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি সত্যগ্রন্থ, যা পূর্ববতী গ্রন্থ সমূহের সত্যায়নকারী এবং সেগুলোর বিষয়বস্তুর রক্ষণাবেক্ষণকারী। অতএব, আপনি তাদের পারসপারিক ব্যাপারাদিতে আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করুন এবং আপনার কাছে যে সৎপথ এসেছে, তা ছেড়ে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করবেন না।  [মায়িদাঃ৪৯]
৫.  কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসনব্যবস্থাঃ এই ইসলামী শাসনব্যবস্থায় কুরআন-হাদীসভিত্তিক শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়।এরইর আলোকে রাসূল(সাঃ) বলেছেন, 
আমি তোমাদের জন্য দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি,তোমরা যতদিন তা আঁকড়ে ধরবে ততদিন পথভ্রষ্ট হবে না।আর তা হল আল্লাহর কিতাব এবং অপরটি হল তার রাসূলের সুন্নাহ।
এর আলোকে আমরা বলতে পারি যে, মুসলিমগণ যদি কুরআন-সুন্নাহের আলোকে রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলে তাহলে একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ সফল হবে।আর এই কুরআন-হাদীস হল ইসলামী শাসনতন্ত্রের মূল সংবিধান।
৬. যোগ্য নেতৃত্বের বিকাশঃ যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে ইসলাম গোটা উম্মাতকে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ব করে থাকে।ইসলাম এমন একজন যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচিত করতে বলে যার দ্বারা দেশে সুখ-শান্তি এবং শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখা যায়।একজনকে ইমাম হওয়ার জন্য তার ভিতর অবশ্যই কিছু কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে।প্রথমত, তাকে মুসলিম হতে হবে। এরপর তাকে জ্ঞানী,বালেগ,স্বাধীন,তাকওয়াবান,সচ্চরিত্রের অধিকারী,বয়স্ক,পদলোভহীন,ন্যায়পরায়ণ,বুদ্বিমান,বীরত্বসম্পন্ন এবং সাস্থ্যবান হতে হবে।তদ্রুপ একজন রাষ্ট্রপ্রধানের মত তার মজলিশে শুরার সদস্যদের একই যোগ্যতা থাকতে হবে।এর দ্বারা দেশে শান্তি-শৃংখলা সহজে বিরাজ থাকবে।রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা প্রতিটি মুমিনের জন্য অপরিহার্য একটি কাজ।তানাহলে দেশে বিশৃখংলার সৃষ্টি হবে।তাই আল্লাহ বলেন,
 হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্র নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা নেতা তাদের।      [নিসাঃ৫৯]
রাসূল(সাঃ) বলেন, ইমামের প্রতি আনুগত্যবিহীন অবস্থায় যে মারা যায় সে তো জাহিলিয়াতের উপর মারা গেল।
তবে আমীর যদি কোন অনৈসলামিক কাজ করে তাহলে সেক্ষেত্রে তাদের আনুগত্য করা যাবে না।রাসূল(সাঃ) বলেন, একজন মুসলিমের উচিৎ তার আমীরের কথা শোনা এবং তাকে মেনে চলা তা তার পছন্দের হোক বা না হোক; যতক্ষণ তাকে কোন পাপাচারের নির্দেশ না দেওয়া হয়।পাপাচারের নির্দেশ দেওয়া হলে তাতে কোন আনুগত্য নেই।
৭. গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা এবং স্বেচ্ছাচারিতে রোধঃ ইসলামী রাষ্ট্রে একজন রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হবেন যিনি সমগ্র ইসলামী সম্রাজ্যের সীমানাকে পাহাড়া দিবেন।তিনি শরীয়াতের আলোকে সকল বিষয় আইন প্রণয়ন করবেন।তিনি ইসলামী রাষ্ট্র বসবাসরত সকল নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণ করবেন।
এই ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা একনায়কতন্ত্রী শাসনব্যবস্থাকে প্রশ্রয় দেয় না।তা মানুষের সাথে মানুষের পরস্পর পরামর্শের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করার ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্বুদ্ব করে থাকে।তাই আল্লাহ বলেন,
কাজে কর্মে তাদের পরামর্শ করুন। [ইমরানঃ১৫৯]
পারসপরিক পরামর্শক্রমে কাজ করে[শুরাঃ৩৮]
মুহাম্মদ(সাঃ) বলেছেন, তোমরা কোনকিছু কুরআন-হাদীসে না পেলে পরামর্শ করে মীমাংসা দিবে।
উমার (রাঃ) পরামর্শের উপর জোড় দিয়ে বলেছেন, যে রাষ্ট্রে মুসলমানদের পরামর্শ নেই তা খিলাফত নয়।
আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ(সাঃ) সর্বদা পরামর্শ করে কাজ করতেন তার উপর ওয়াহী নাযিল হওয়া সত্ত্বেও। এব্যাপারে আবূ হুরায়রা(রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর চেয়ে অধিক পরামর্শকারী আর কেউ ছিলেনে না।
খুলাফায়ে রাশেদীনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, তারাও সর্বদা মজলিশে শুরার সকল সদস্যের সাথে পরামর্শের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সিদ্বান্ত গ্রহণ করতেন।আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) মজলিশে শুরাতে পরামর্শের মাধ্যমে রিদ্দা যুদ্বে ধর্মত্যাগী এবং ভণ্ড নবীদের বিরুদ্বের যুদ্ব ঘোষণা করেন।অতঃপর হযরত উমার(রাঃ) এর খিলাফতকালে যখন ইরাক জয় হয় তখন মজলিশে শুরার সিদ্বান্ত হয় যে, বিজিত অঞ্চলের ধন-সম্পদ সৈন্যদের ভিতর বণ্টিত না হয়ে তা বায়তুল মালে সংরক্ষিত থাকবে।
৮. সমাজে ভাতৃত্ব ও সাম্য প্রতিষ্ঠাঃ ইসলাম একটি রাষ্ট্রে ভিতর কেবল মাত্র শাসক-শাসিত শ্রেণীর দুরুত্ব কমায় না বরং তা লাঘব করে সমাজে ধনী-গরীব,উচু-নীচু,বড়-ছোট,কালো-সাদা সকল ধরনের ভেদাভেদ দূর করে।সমাজে সৃষ্টি করে মানুষের সাথে মানুষের ভাতৃত্ব যার ইঙ্গিত আমরা লক্ষ্য করি যখন সকল মুসলিমগণ জামায়াতের সাথে একত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায একত্রে আদায় করে তখন তাদের ভিতর থেকে সকল ধরনের ভেদাভেদ দূরীভূত হয়ে যায়।আল্লাহ পাক কুরআনে ইরশাদ করেন,
মুমিনরা তো পরসপর ভাই-ভাই। [হুজুরাতঃ১০]
হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরসপরে পরিচিতি হও। [হুজুরাতঃ১৩]
মুহাম্মদ(সাঃ) যখন মদীনায় রাষ্ট্রপ্রধান হন তখন তিনি আনসার এবং মুহাজিরদের ভিতর একটি সুন্দর ভাতৃত্ব গড়ে তুলেছিলেন যার ফলে যেসকল আনসার ভাইয়ের দুইটি বাগান ছিল একটি তার ভাইকে দান করে দেয়,যার দুইটি ঘর ছিল একটি তার ভাইকে দান করে দেয়।এমনিভাবে তাদের ভিতর ভাতৃত্ব ও সাম্য সৃষ্টি হয়।
আমরা হযরত উমার(রাঃ) খিলাফতকাল পর্যবেক্ষণ করলে বুঝতে পারি যে, তিনি যখন বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করেন তারা সাথে ভৃত্যকে তিনি উটের পিঠে বসিয়ে সেখানে গমন করেন।
৯.সুবিচার প্রতিষ্ঠা করাঃ ইসলামী রাজনীতির অন্যতম মূল বৈশিষ্ট্য হল সমাজে সুবিচার প্রতিষ্ঠা করা। এ ব্যাপারে কুরআনে এসেছে,
হে ঈমানদারগণ! ইনসাফের পতাকাবাহী ও আল্লাহর সাক্ষী হয়ে যাও, তোমাদের ইনসাফ ও সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের ব্যক্তিসত্তার অথবা তোমাদের পিতা-মাতা ও আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে গেলেও। [নিসাঃ১৩৫]
সুবিচার কর এটাই খোদাভীতির অধিক নিকটবর্তী। [মায়িদাঃ৮]
মাখজুমি বংশের মেয়ে ফাতিমা। সম্মান আর আভিজাত্যে আরব জোড়া সুনাম। আছে অর্থসম্পদ প্রাচুর্য। তবুও চুরির দায়ে ধরা পড়লেন ফাতিমা। কুরায়শদের মাঝে কানাকানি, ফিসফিসানি। কিছু একটা করা দরকার। বিব্রত কুরায়শগণ অবশেষে রাসূলের (সাঃ) কাছে শাস্তি কমানোর সুপারিশের কথা ভাবেন।অতঃপর তিনি উঠে দাড়ালেন, জনতাকে সম্বোধন করে দৃঢ কন্ঠে ঘোষণা করলেন, তোমাদের পূ্র্ববর্তী লোক শুধু এ জন্য ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে যে, তাদের মধ্যে কোন ভদ্র বা অভিজাত বংশীয় লোক চুরি করলে তারা তাকে ছেড়ে দিত। কিন্তু যদি কোন দূর্বল ব্যক্তি চুরি করত তবে তার উপর অনুশাসন কার্যকর করত। আল্লাহর শপথ, মুহাম্মাদ তনয়া ফাতিমাও যদি চুর করে তবে তার হাতও কর্তিত হবে
উমার(রাঃ) তার স্বীয় পুত্রকে মদ্যপানের জন্য বেত্রাঘাত করেন যেই ন্যায়বিচারের দৃষ্টান্ত পৃথিবীর কোথাও আর পাওয়া যায় না।
সামগ্রিক বিচার বিশ্লেষণঃ ইসলাম এত সুন্দর মতবাদ দাড় করিয়েছে যা অন্য কোন মতবাদ করতে সক্ষম হয় নাই।এবং তার বিধান এত সুন্দর যার দৃষ্টান্ত মুহাম্মদ (সাঃ)দেখিয়ে গেছেন। তারপর দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে সাহাবীগণ এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের খলীফাবৃন্দ।যদিও তার পরবর্তী যুগ কিছুটা হলেও কালিমাযুক্ত ছিল।রাসূল(সাঃ) এমন এক জাতির কাছে প্রেরণ করা হয়েছে যাদের ব্যাপারে কুরআনে বলা হয়েছে ইতিপূর্বে তাদের কাছে কোন জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনকারী গমন করে নাই   [কুরআন]    ভিতর সামাজিক জীবন বলতে কিছুই ছিল না।তাদের মন ছিল মাটি ও পাথরের মত শক্ত।তাদের সামনে রক্ত প্রবাহ না থাকলে তাদের মনে শান্তি থাকত না।  আরব সভ্যতা অত্যন্ত বর্বর ছিল।তাদের অবস্থা ছিল এমন যে কেউ মৃত্যুর সময় বলেছি তুমি যদি আমার যোগ্য সন্তান হও তাহলে অমুক ব্যক্তিকে হত্যা কর।ঈসলাম আসার পূর্বে আরবে প্রায় ১৭০০টি যুদ্ব সংঘটিত হয়েছিল।ধনী শ্রেনীর লোকেরা গরীবদের উপর চালাত নির্মম অত্যাচার,নির্যাতন ও নীপিড়ন।সেসময় অনেক লোকেরা চুরি,ডাকাতি,ছিনতায়ী,রাজহানী,জুয়াখেলে ইত্যাদি অপতৎপরতার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতসেখানে নারীর মর্যাদা বলতে কিছুই ছিল না।তাদেরকে কেবল ভোগের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হত। কণ্যা সন্তান জন্মগ্রহন করলে তাকে জীবিত মাটির নীচে পুতে ফেলা হত। মদ্যপানকে তারা গৌরবের ব্যাপার মনে করত।ব্যভিচারের ব্যাপক প্রসার ঘটেছিল। বাজারে পণ্য-দ্রব্যের মত দাস-দাসীদের বিক্রি করা হত।মনিবগণ দাস-দাসিদের উপর অত্যন্ত অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালাত।আর সেই সমাজ আর রাষ্ট্র হয়ে গেল পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শময়।একজন ইয়াতীম বালক এ জায়গায় আসলেন।যার বাবা মায়ের গর্ভে থাকার সময় ৪মাস বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।মা মারা যান ৬ বছর বয়সে,দাদা মারা যান আট বছর বয়সে এবং চাচা মারা যান ৫০-৫১ বছর বয়সে। তিনি সবার ভিতর এক নবজাগরণ সৃষ্টি করলেন।তিনি শিশু বয়সে সকলের মন জয় করলেন।তিনি কাবা ঘরের সালিশ মিটিয়ে দিলেন। তিনি গড়ে তুললেন একটি সুসভ্য জাতি হিসেবে।তার কারণ কি ছিল?তার কারন হল এই যে তার সাথে ছিল কুরআন এবং ইসলামের বাণী। তিনি তাদের পরিণত করলেন একটি সবচেয়ে সুশৃংখল জাতিতে এবং আদর্শ মানুষ হিসেবে।মদীনার সনদের মাধ্যমে গড়ে উঠল একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র।যার সীমানা আছে।যার সীমানার পাহাড়া দেওয়া হত যা মদীনার সনদে বর্ণিত ছিল।সকলের জন্য সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিল।শৃংখলা ছিল।ঐক্যবদ্বতা ছিল।মদীনা সনদের ভিতর আধুনিক রাষ্ট্রের সকল উপাদান ছিল।এখানে বৈদেশিক নীতি ছিল।সেখানে থেকে বিভিন্ন দেশে চিঠি পাঠানো হল।কেউ চিঠি ছিরে ফেলল আবার কেউ দূতকে হত্যা করল।তারা চিন্তা করে দেখল যে এই বর্বর জাতির ভিতর থেকে কি করে একজন মহান নায়কের আবির্ভাব হতে পার?কিন্তু সেই জায়গাটি পৃথিবীর সবচেয়ে আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।কারণ আদর্শ রাষ্ট্রের উপাদানগুলো সব ইসলাম ধর্মের ভিতর ছিল। গড়ে উঠে একটি সম্রাজ্য মুহাম্মদ(সাঃ) বললেন আমার কণ্যা ফাতিমা চুরি করলে তার হাত কেটে দিতাম,উমার(রাঃ) তার স্বীয় পুত্রকে মদপানের জন্য শাস্তি দিলেন,তিনি ক্ষুধার্তের বাসায় আটার বস্তা বহন করে নিয়ে গেলেন, তিনি বায়তুল মুকাদ্দাস গমন করলেন দাসকে উটে বসিয়ে তারা দেখালেন যে মানুষ এ মানষ কোন ভেদাভেদ নেই। আবার আবূ বকর(রাঃ)যখন লক্ষ্য করলেন যে তার ঘরে অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করা হচ্ছে তখন সে রাষ্ট্রীয় ভাতা নেওয়া বন্ধ করে দিলেন।উসমান(রাঃ) এক ভৃত্যের কান মলে দেওয়ার পর তিনি তার কানকে আবার তার সামনে নিয়ে বললেন তার কান যেন মলে দেওয়া হোক।আলী(রাঃ) যখন ছিলেন খলীফা তার লোহার বর্ম হারিয়ে যে তার বিচারের ক্ষেত্রে যেই মহানুভবতা প্রদর্শন করেছেন তার নজীর ইতিহাসে খুজে পাওয়া যাবে।  তো তারা এমন এক জাতির নেতৃত্ব দিলেন যে জাতির লোকজন ছিল মেষপালক।তারা ছিনতায়ী,হত্যা ইত্যাদি কাজের সাথে নিয়োজিত ছিল।কিন্তু তারা এই আদর্শের ধারাবাহিকতায় জয় করল অর্ধ পৃথিবী।
ধর্মরাজনীতি বিরোধীদের অভিমতঃ  উপরের আলোচনা থেকে একথা প্রতীয়মান হয় যে, ইসলাম রাজনীতি হতে বহির্ভূত নয়।বরং ইহা ইসলামের একটি বিবেচ্য বিষয়।মানুষের রাষ্ট্রীয় এবং রাজনৈতিক জীবনকে সুন্দর করার জন্য যেসকল ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তার সবকিছু ইসলামে বিরাজমান।তাই যারা একথা বলে থাকে ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই তাদের কথা উদ্দেশ্যপ্রণীত ছাড়া কিছুই নয়।ইসলামী বিষয়ে সম্যক জ্ঞান না থাকার দরুন তারা হয়তো এমন মন্তব্য করতে পারে অথবা ইসলামী রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হলে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বের হুমকি সৃষ্টি হবে যারা দরুন তারা বলে থাকে ইসলামে রাজনীতি বলতে কিছুই নেই।কিন্তু তাদের এই বক্তব্য কোনভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
উপসংহার                               

পরিশেষে বলা যায় যে, ইসলাম একটি পূর্নাংগ জীবন বিধান যেখানে সকল বিষয়ের সমাধান অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দেওয়া হয়েছে।যদি এই ইসলামের কার্যবিধিসমূহ আমাদের রাজনৈতিক জীবনে বাস্তবায়ন করা হয় তাহলে এর দ্বারা সহজেই আমাদের দেশে শান্তি-শৃংখলা প্রতিষ্ঠিত হবে।

3 comments:

  1. রাজনীতি বলতে লেখক কি বুঝেন, সেটা না লিখেই ইসলামে রাজনীতি আছে কি নাই তা বিশ্লেষণ করলেন জামাতে ইসলামের মগজ নিয়ে। ইসলাম এবং জামাতে ইসলাম যে এক নয় তা বুঝাতে কোন গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। ইসলামে রাজনীতি আছে; একথা বুঝতে পেরে দেশে দেশে এরকম রাজনৈতিক ইসলাম কায়েম করতে গিয়ে যে পরিমান ইসলামি রাজনৈতিক দল পয়দা করেছে তার পরিমান গুনে শেষ করা যাবে না। এ নিয়ে আপাতত আর বেশী কিছু লিখলাম না। লেখক মহোদয় ইসলামিক বিরোধী দল সম্পর্কে তো কিছু লিখলেন না! ইসলামিক সংবিধানের কথা লিখতে ও ভুলে গেছেন বোধ হন। সেটা কি রকম? নাকি অন্যদের মত কোরানকেই সংবিধান বানিয়ে দেবেন! এসব কথা বার্তা দিয়ে কিছু মানুষকে ইমোশনাল ব্লেকমেইল করা যায় বটে। না হয় বাংলাদেশে কচুর বপ্রজাতির চেয়ে ইসলামিক দলের প্রজাতি বেশি হতো না। এরা সবাই বেগম জিয়াকেই তাদের আমিরুল মোমেনীণ বানাতো না।

    ReplyDelete
    Replies
    1. প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এতো দেরিতে আপনার উত্তর দেওয়ার জন্য আসায়।
      দেখেন, এখানে মূল বিষয়টা ছিল - ইসলামী রাজনীতি নিয়ে বর্তমান ভাবনা কি কি আলোচনা কর। অথবা ইসলামী রাজনীতি কি সমর্থনযোগ্য নাকি নয় তা নিয়ে আলোচনা কর।অথবা ইসলাম ও রাজণীতি সম্পর্কে তোমার ধারনা কি? অথবা ইসলামে রাজনীতি আছে কি নাই তা মূল্যায়ন কর।
      রাজনীতি কি? বা এই নামে আসলেই কিছু আছে কিনা তা কিন্তু আলোচ্য পোস্টে লিখি নাই বা লিখার সুযোগ নাই।
      ইনশাল্লাহ! খুবই দ্রুত এই বিষয়ে লিখবো।
      আর এতো এতো ইসলামী নামধারী দল থাকতে আপনি জামাতের নাম ধরলেন কেন?
      খালেদাকেই বা আবার কেন টেনে আনলেন তা বোধগম্য নয়।
      আমাদের দেশের বড় তিন দলই ইসলামী নামধারী দলসমূহের ঘাড়ের হাত রাখে। যদিও তা সময়ে সময়ে।
      আবার ইসলামী নামধারী দলগুলোও ফোকাস লাইটে আসার জন্য বড় দলের লেজ ধরে থাকে।

      Delete
  2. http://iabnews.net/why-islamic-politics-is-needed/

    ReplyDelete

৩৮ তম বিসিএস এর রেজাল্ট

৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ কথা নিশ্চিত করেন। ...