Wednesday, 18 September 2013

প্রশ্নঃ আইয়্যামে জাহিলিয়াত এবং তৎকালীন আরব দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা


ভূমিকাঃ

আল্লাহ সুবাহানাওতায়ালা বলেন,
তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? [মায়িদাঃ৫০]
আইয়্যামে জাহেলিয়াত হল এক চরম অন্ধকারাচ্ছন্ন এক যুগ।এ সময় আরব সমাজে যোগ্য শাসক বলতে কেউই ছিল না।তাদের ভিতর নীতি-নৈতিকতা বলতে কিছুই ছিল না।এক চরম বিশৃংখলাময়ী জীবন-যাপন আরব দেশের লোকেরা অতিবাহিত করত।সেই সময়ের সামাজিক এবং ধর্মীয় অবস্থা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ

আইয়্যামে জাহেলিয়াত এর পরিচিতি

আইয়্যামে জাহিলিয়াত দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত।আইয়্যাম শব্দটি "ইয়াউমুন" এর বহুবচন "ইয়ামুন" হতে নির্গত। একথাটি "লাইলুন" এর বিপরীত।আভিধানিক অর্থে - আইয়্যামের অর্থ হল বিশেষ কাল,দীর্ঘসময়,বিশেষ সময়,ঐতিহাসিক সময়,ঘটনা সম্বলিত সময়,Age,period, ইত্যাদি।এ শব্দটির ব্যপকতা কুরআনের ভিতর খুজে পাওয়া যায়। যেমন কুরআনে বলা হয়েছে-
আর এ দিনগুলোকে(আইয়্যাম) আমি মানুষের মধ্যে পালাক্রমে আবর্তন ঘটিয়ে থাকি।[ইমরানঃ১৪০]
মানুষের প্রতি দেওয়া আল্লাহ পাকের নিয়ামতকে আইয়্যাম বলা হয়। আল্লাহ বলেন-
হে বনী-ঈসরাইলগণ! তোমরা তোমাদের নিআমতের কথা স্মরণ কর।
জাহেলিয়াত শব্দের অর্থ হল মূর্খতা,অজ্ঞতা,কুসংস্কার ইত্যাদি।জাহিলি এর নিগূঢ় অর্থ হল নির্বুদ্বিতা,বর্বরতা,নিষ্ঠুরতা,তমসা এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন,ignorance ইত্যাদি। এ শব্দের ব্যবহার কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে -
আল্লাহ্ সম্পর্কে তাদের মিথ্যা ধারণা হচ্ছিল মুর্খদের মত। [ইমরানঃ১৫৪]
তারা কি জাহেলিয়াত আমলের ফয়সালা কামনা করে? [মায়িদাঃ৫০]
তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।    [আহযাবঃ৩৩]
ঐতিহাসিক পরিভাষায় -
রাসূল(সাঃ)এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী সময়কে আইয়্যামে জাহিলিয়ার বলা হয়।এ যুগকে তমসার যুগও বলা হয়।সেসময় আরব সমাজে কৃষ্টিতা,সভ্যতা,ধর্মীয় অনুভূতি না থাকার জন্য এ যুগকে আইয়্যামে জাহিলিয়াত বলা হয়।
পি.কে হিট্টি বলেন-
নবীর কিতাব প্রাপ্তি এবং নবূয়াত লাভের পূর্ব এক শতাব্দী থেকে আরব দেশে যে বর্বতা ও নিষ্ঠুরতার আবির্ভাব ঘটেছিল তাকেই আইয়্যামে জাহিলিয়াত বলা হয়।

ব্যপ্তিকাল

এই অন্ধকাচ্ছান্ন যুগের ব্যপ্তিকাল কতদিন ছিল তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের ভিতর মতপার্থক্য রয়েছে।সেই মতামতসমূহ নিম্নরুপঃ
(১) অনেকে বলেছেন যে,আদম(আঃ) থেকে শুরু করে মুহাম্মদ(সাঃ)এর জন্মের আগ পর্যন্ত সময়কালকে আইয়্যামে জাহেলিয়াত বলা হয়। তবে এধরনের মতামত গ্রহণযোগ্য নয়।
(২) আবার কোন কোন আরব ঐতিহাসিক বলেছেন বলেছেন যে হযরত ঈসা(আঃ) এর আবির্ভাবের পর থেকে হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এর জন্মের আগ পর্যন্ত এর ব্যাপ্তিকাল বিস্তৃত ছিল।
(৩) বিশিষ্ট ঐতিহাসিক নিকলসন বলেছেন, ইসলামের জন্মের একশ বছর আগে থেকে আইয়্যামে জাহিলিয়াত শুরু হয়।
(৪) পি.কে হিট্টি বলেন, মহানবী(সাঃ) এর আবির্ভাবের একশ বছর আগে থেকেই আইয়্যামে জাহিলিয়াতেত শুরু হয়।উপরের আলোচনা দ্বারা বুঝা যায় যে,মুহাম্মদ(সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্বে ঈসা(আঃ) এবং ইসলামের আবির্ভাবের একশ বছর পূর্ব থেকে আইয়্যামে জাহিলিয়তের শুরু হয়।

 সামাজিক অবস্থাঃ


১.বৈবাহিক জীবনঃ 

তৎকালীন আরবদেশের বৈবাহিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক ছিল।স্বাভাবিকভাবে বিবাহ সম্পাদন করে স্বামী-স্ত্রীর ভিতর জীবন-যাপন করার সংখ্যা ছিল অত্যন্ত নগণ্য।বিবাহ ছাড়াই একজন নারী কিংবা পুরুষ অসংখ্য সন্তানের জনক-জননী হত।কখন দেখা যেত যে,একজন নারী প্রায় দশ পুরুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করত এবং সবার সাথে মিলনের পর একজন সন্তান জন্ম নিলে কখনও স্ত্রী কিংবা কখনও কোন বিশেষজ্ঞ তাদের সন্তানের প্রকৃত পিতাকে চিহ্নিত করত।আবার পুরুষেরাও একসাথে প্রায় দশ কিংবা তা অধিক স্ত্রী শর্তহীনভাবে গ্রহণ করতে পারত।সেখানকার পুরুষেরা যেকাউকে বিবাহ করতে পারত।কারও পিতা মারা গেলে তার স্ত্রীকে অর্থাৎ, সৎ মাকে তার ছেলে বিবাহ করতে পারত।তারা তাদের খালা,ফুফুদের বিবাহ করতে কার্পণ্য বোধ করতে পারত না। এ ব্যাপারে কুরআনে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। আল্লাহ পাক বলেন-
যে নারীকে তোমাদের পিতা-পিতামহ বিবাহ করেছে তোমরা তাদের বিবাহ করো না। কিন্তু যা বিগত হয়ে গেছে। এটা অশ্লীল, গযবের কাজ এবং নিকৃষ্ট আচরণ।[নিসাঃ২২] 
আবূ বকর জাসসাস(রঃ) বলেন, পিতার স্ত্রীকে অর্থাৎ সৎ মাকে বিবাহ করার প্রচলন ব্যাপক ছিল।

২. ব্যভিচারের প্রাদুর্ভাবঃ

প্রাক ইসলামী যুগে আরব দেশে ব্যভিচারের প্রাদুর্ভাব সব জায়াগায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।পতিতাবৃত্তি সমাজে স্বীকৃতি লাভ করে। যৌন ব্যভিচার সমাজ কোন নিন্দনীয় বিষয় ছিল না।যারা এসকল অন্যায়-অবৈধ কাজে নিজেদের যতবেশী সম্পৃক্ত রাখতে পারত সমাজে তাদের মর্যাদা সবচেয়ে বেশী ছিল। এভাবে করে তারা নীতিহীন এবং অসামাজিক কাজের মধ্যে নিজেদের নিমজ্জিত করেছিল। এ ব্যাপারে মাওলানা আকরাম খাঁ বলেন -
পুংমৈথুন,স্ত্রীমৈথুন এবং পশু মৈথুন তাদের ভিতর প্রচলিত ছিল এবং তা তারা স্বাভাবিক হিসেবে বিবেচনা করত

৩.দাসপ্রথাঃ 

তখনকার দিনে অন্যান্য সমাজের ন্যায় আরব সমাজেও দাসপ্রথা প্রচলিত ছিল।পণ্যদ্রব্যের মত দাস-দাসীও হাটে-বাজারে বিক্রি হত। তাদের দুরবস্থা সম্পর্কে আমীর আলী বলেন, ভৃত্যি হোক আর ভূমিদাস হোক তাদের ভাগ্যে ক্ষীণ আশা বা এককণা সূর্যরশ্মিও কবরের এদিকে জীবনে জুটত না। প্রভূরা তাদের উপর খেয়াল-খুশি মত অত্যাচার করত।তারা কখনও দাসীদের উপপত্নী হিসেবে গ্রহণ করত। এক কথায় তাদের জীবন-মৃত্যু নির্ভর করত তাদের প্রভূর উপর।তাদের বিবাহের কোন স্বাধীনতা ছিল না। তখনকার দিনে দাসদের অবস্থা ছিল শোচনীয়।

৪. কণ্যা সন্তানকে জীবিত কবরঃ

তৎকালীন আরব সমাজের নারী জাতির অবস্থা ছিল অত্যন্ত করুন। কণ্যা সন্তান জন্মগ্রহন করলে তাকে জীবিত মাটির নীচে পুতে ফেলা হত। কণ্যা সন্তানকে তারা সর্বদা অভিশাপ মনে করত।আরবেরা কখনো কখনো দারিদ্র্যতার ভয়ে এমন কাজটি সঙ্ঘটিত করত। কিতাবুল আখরাজীর মতে, এ জঘন্য প্রথা কায়স বিন আসিমের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়। কুরআনুল কারীমে এ ব্যাপারে কিছু ইংগিত পাওয়া যায়। আল্লাহ পাক বলেন -
 যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে। [নাহলঃ৫৮]

৫. জুয়াখেলা,মদ্যপানের ব্যাপকতা:

তৎকালীন আরব সমাজে জুয়াখেলা,মদ্যপানের মত জঘন্য অভ্যাস তাদের ভিতর ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করা যেত। সেসময় তারা মদপান করত আর তা করে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল কাজের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করত। মদ যে যত বেশী পান করতে পারত সে নিজেকে নিয়ে তত বেশী গর্ববোধ করতে পারত। তাদের এই অভ্যসের কথা আল্লাহ পাক কুরআন মাজীদে উল্লেখ করেছেন। এজন্য ঐতিহাসিক খোদাবক্স বলেন, War,woman and wine were there observing passions of the Arabs.           
অন্যদিকে তারা জুয়াখেলাও দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে স্ত্রী কণ্যাকেও বাজি ধরত। সৈয়দ আমীর আলী বলেন, জুয়াখেলা আরব সমাজের অবসর বিনোদনের একটি বিশেষ মাধ্যম ছিল।” কুরআনে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে যে -
 হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও। [মায়িদাঃ৯০]

৬. গোত্র-গোত্র দ্বন্দ্ব:

ইসলাম আবির্ভাভের পূর্বে আরব এর রাজনৈতিক অবস্থা ছিল অত্যন্ত নাজুক।আরব এর অধিইকাংশ জায়গা ছিল স্বাধীন।এক এক স্বাধীন রাস্ট্র এক এক গোত্র দ্বারা পরিচালিত হত।প্রত্যেক গোত্রে এক এক জন গোত্র প্রধান থাকত।গোত্রের লোকদের ভিতর অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল।কিন্তু এক গোত্র অন্য গোত্রকে সহজে সহ্য করতে পারত না।সামান্য কোন বিষয় তাদের ভিতর কোন যুদ্ব শুরু হলে সে যুদ্ব তাদের ভিতর প্রায় সময় এরকম গোত্র গোত্র যুদ্ব লেগে থাকত।সামান্য বিষয় নিয়ে মক্কার কুরাইশ আর কায়েস গোত্রের ভিতর এক ভয়াবহ রক্তখয়ী যুদ্ব সংঘটিত হয় যা ফিজারের যুদ্ব নামে পরিচিত যা প্রায় পাঁচ বছর যাবৎ স্থায়ী ছিল।তেমনিভাবে উটকে পিটানোর অভিযোগে বকর এবং তঘলিব গোত্রের ভিতর যুদ্ব হয়েছিল ৪০ বছর যাবৎ,আবিস এবং ধীমান গোত্রের ভিতর যুদ্ব হয়েছিল প্রায় এক শতাব্দী পর্যন্ত,মদীনার আউস এবং খাযরায গোত্রের ভিতর অনেকদিন যাবৎ যুদ্ব লেগে ছিল। ঐতিহাসিক গীবন বলেছেন, ঈসলাম আসার পূর্বে আরবে প্রায় ১৭০০টি যুদ্ব সংঘটিত হয়েছিল। এতে করে সমগ্র আরব এর অবস্থা অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়েছিল।

৭. হায়ার অভাব:

তৎকালীন আরব সমাজ নারী-পুরুষের লজ্জা-শরম বলতে কিছুই ছিল না।যেকেউ কারও সামনে নিজেদের গুপ্তাংগ প্রদর্শন করতে তারা মোটেও কার্পণ্য প্রকাশ করত না।কিশোরী মেয়েরা প্রকাশ্যে উলং হয়ে গোসল করত।নারী-পুরুষেরা কাবা গৃহের সামনে উলংগ হয়ে তওয়াফ করত।

৮.অশ্লীল সাহিত্যের বিস্তারঃ

 সেই মূর্খতার যুগেও আরব সমাজে সাহিত্য তথা কাব্যচর্চ্চা অত্যন্ত সুনিপুণভাবে হত।সেসময় তাদের কবিতার বিষয়বস্তু ছিল নারী,প্রেম,অশ্লীলতা ইত্যাদি।কবিরা তাদের অশ্লীল কবিতার মাধ্যমে সমাজে সর্বপ্রকারের অনর্থও ঘটাত।প্রাক ইসলামী যুগে ইমরুল কায়স,তারাকা আমর,লবীদ,যুহায়ের প্রভৃতি কবিদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল।ইমরুল কায়সের কবিতায় একথা খুঁজে পাও্য়া যেত যে, কীভাবে তিনি মহিলাদের পোশাক লুকিয়ে তাদের রুপের অপরুপ বর্ণনা দিতেন।কাব ইবনে আশরাফ নামে একজন কবি ছিল যিনি সর্বদা মহিলাদের নিয়ে এমন ব্যাঙ্গার্থক কবিতা রচনা করতেন।

৯. নারী জাতির প্রতি অবমাননা:

 আইয়ামে জাহিলিয়াতে নারী জাতির প্রতি চরম অবমাননা করা হত।তাদেরকে সেসময় মানুষ হিসেবে বিবেচনা করা হত না।তাদেরকে নিজেদের ভোগের সামগ্রী হিসেবে মনে করা হত।কোন মহিলার সাথে কোন পুরুষের বিবাহের পর সেই স্বামী যেকোন পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখতে পারত।এতে স্ত্রী স্বামীর বিরুদ্বে বিন্দুমাত্র প্রতিবাদ করতে পারত না। স্বামীগণ মারা গেলে স্ত্রীগণ তাদের সম্পত্তির কোন অংশ পেত না।একজন লোক ইচ্ছামত বিবাহ করতে পারত আবার ইচ্ছামত তালাক দিতে পারত।

১০. অনৈতিকতার বিস্তারঃ

তৎকালীন আরব সমাজে নীতি-নৈতিকতা বলতে কিছুই ছিল না।হিংসা-বিদ্বেষ, অহংকার, দাম্ভিকতা, খিয়ানতদারিতা, অপচয়, মারামারি, লুটপাট, রাহাজানী, ইত্যাদি অন্যায় অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে সমাজকে একেবারে কলুষিত করে ফেলেছিল।

১১.নিষ্ঠুরতাঃ 

এমন কোন ধরনের নিষ্ঠুর কাজ ছিল না যাকিনা আরবদের দ্বারা সঙ্ঘটিত হত না।তারা জীবিত উটের পিছন দিক দিয়ে গোশত কেটে ভক্ষণ করতে পারত।তারা কখনও কখনও নারীদের ঘোড়ার লেজের সাথে লেলিয়ে দিত।এতে ঐ নারী মৃত্যুবরণ করলে তারা তাতে আনন্দ উদযাপন করত।

১২.কুসংস্কারঃ 

সেসময় আরব সমাজ কুসংস্কার দ্বারা আচ্ছাদিত ছিল।নরবলি তাদের ভিতর প্রচলিত ছিল।তারা তীর নিক্ষেপ করে ভাগ্য নির্ধারণ করত।তারা মৃতব্যক্তির কবরের পাশে উট বেধে রাখত।এভাবে করে তাদের সমাজ একেবারে কুসংস্কারে ভরপুর হয়ে পড়েছিল।

 ১৩. শিশু হত্যাঃ 

আইয়্যামে জাহিলিয়াতের সময় আরব অঞ্চলের বেশকিছু লোকজন দারিদ্যতার ভয়ে নিজ শিশুসন্তানকে হত্যা করতে কুণ্ঠিত বোধ করত না।এ ব্যাপারে কুরআনে ইংগিত পাওয়া যায় যা হলঃতোমরা দারিদ্র্যতার জন্য নিজেদের সন্তানদের হত্যা কর না। [আনআমঃ১৫২]

4 comments:

  1. নহল নামে কি কোনো সূরা অাছে। আর সূরা নাহলের কি ১৩৮ টি আয়াত আছে?????

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ আপনাকে ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।
      শুধরিয়ে নিয়েছি।
      আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদান দিবেন ।

      Delete
  2. শুরুতে আল ইমরানের রেফারেন্স ভুল আছে.১৫৪ নম্বর আয়াতে এমন কোন অর্থ নেই।

    ReplyDelete

৩৮ তম বিসিএস এর রেজাল্ট

৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ কথা নিশ্চিত করেন। ...