Monday, 26 January 2015

প্রশ্নঃ ১ম বিশ্বযুদ্বে উসমানীয়দের অক্ষ শক্তির পক্ষে দল যোগ দেওয়ার কারণ ও ফলাফল সম্পর্কে লিখ।


প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (অপর নাম - প্রথম মহাযুদ্ধ) ১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সালের মধ্যে সংঘটিত হয় এবং তখন পর্যন্ত এটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ যুদ্ধ।১৯১৪ সালের ২৮ জুন বসনিয়ার রাজধানী সারায়েভো শহরে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রানৎস ফার্ডিনান্ড এক সার্বিয়াবাসীর গুলিতে নিহত... হন। অস্ট্রিয়া এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং ওই বছরের ২৮ জুন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধে দুদেশের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়ে। এভাবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪-১৯১৮) সূচনা হয়। তবে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ হত্যাকাণ্ডই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একমাত্র কারণ ছিল না। উনিশ শতকে শিল্পে বিপ্লবের কারণে সহজে কাঁচামাল সংগ্রহ এবং তৈরি পণ্য বিক্রির জন্য উপনিবেশ স্থাপনে প্রতিযোগিতা এবং আগের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ইত্যাদিও প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের কারণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে একপক্ষে ছিল অস্ট্রিয়া, জার্মানি, হাঙ্গেরি,তুরস্ক ও বুলগেরিয়া। যাদের বলা হতো কেন্দ্রীয় বা অক্ষ শক্তি। আর অপরপক্ষে ছিল সার্বিয়া, রাশিয়া, ব্রিটেনে, ফ্রান্স, জাপান, ইতালি ও আমেরিকা। যাদের বলা হতো মিত্রশক্তি।
তুরস্কের অক্ষ শক্তির পক্ষে যোগ দেওয়ার কারণসমূহ
১৯১৪ সালে যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ব সঙ্ঘটিত হয় তখন তুরস্ক প্রথমে নিরপেক্ষ থাকার ব্যাপারে মনোভাবে ব্যক্ত করতে থাকে। কিন্তু কালক্রমে তারা অক্ষ শক্তির দল নেয়। এর পিছনে বেশ কিছু ধরনের কারণ ছিল যা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১. মিসর পুনরুদ্বার
১৮৮২ সালে খোদিভ তৌফিকের শাসনামলে উদাভী বিদ্রোহ সঙ্ঘটিত হলে পরে তৌফিক বিদেশী শক্তির সাহায্য প্রার্থনা করে আর ব্রিটিশ সরকার তাদেরকে সহায়তা করে আর এমনিভাবে উসমানীয় সম্রাজ্য হতে মিসর বিচ্যুত হয় আর মিসর তখন হতে ইংলান্ডের একটি ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। আর তখন হতে উসমানীয়রা ব্রিটিশ বিদ্বেষী হয়ে উঠে এবং মিসরকে পুনরুদ্বারের ব্যাপারে সচেষ্ট হয়ে উঠে।
২. তিউনিস ও আলজিয়ার্স পুনরুদ্বার
যখন ব্রিটিশরা মিসরসহ অন্যান্য অঞ্চল দখল করতে থাকে তখন থেকেই ফ্রান্স আফ্রিকার দেশসমহূ দখল করার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠে। তাই তখন হতে আফ্রিকার বেশ কিছু অঞ্চল তারা দখল করতে থাকে। আর এই কারণে ১৮৩০ সালে প্রথমে তারা আলজিরিয়া দখল করে নেয় একবারে বিনা বাধায় উসমানীয়দের দূর্বলতার জন্য। এরপরে ১৮৮২ সালের তিউনিস সেখানকার শাসকদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমেও তিউনিসিয়া দখল করে নেয়। এখানে ব্রিটেন,ইতালী সকলেই নিশ্চুপ থাকে। এতে করে ফরাসী সরকারের প্রতি উসমানীয়রা ক্ষুব্দ্ব হতে থাকে আর তা পুনরুদ্বারের ব্যাপারে বদ্ব পরিকর হয়।
৩. ত্রিপোলী পুনরুদ্বার
একইভাবে লিবিয়াতে অবস্থিত ত্রিপোলীতে ইউরোপীয় আরেক পরাশক্তি ইতালি অনেক যাবৎ নিজেদের কোন উপনিবেশ না থাকার জন্য হীনমন্যতায় ভুগছিল। আর তারাই পরবর্তীতে উসমানীয়দের কাছে থেকে ত্রিপোলী ছিনিয়ে নেয়।১ম বিশ্বযুদ্ব সঙ্ঘটিত হওয়ার ঠিক এক বছর আগে ইতালি তাদের সার্বভৌমত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে যায়। আর তুরস্ক এতে করে নিজেদের দূর্বল হিসেবে মনে করে নতুন মিত্রের সন্ধানে নেমে পড়ে।
৪. ইয়ং তুর্ক ফ্রন্টের অবদান
নব্য তুর্কদের আন্দোলনের ফলে এক নতুন চিন্তাধারার উন্মেষ তুর্কী রাজনীতির মধ্যে সংযুক্ত হতে থাকে। তারা নতুন করে তুরস্ককে সাজাতে শুরু করে। তারা যখন দেখল যে, সমগ্র ইউরোপ মিলে তুরস্কের বিভিন্ন স্থান দখল করে নিয়ে যাচ্ছে তখন থেকেই তাদের মধ্যে একধরনের ইউরোপীয় নেতিবাচক মনোভাবের বিকাশ সাধিত হয়েছিল। আর এই কারণেই জার্মানকে  বন্ধু হিসেবে মনে করে সমুখের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
৫. পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত
একসময়ে উসমানীয়রা ছিল পৃথিবীর সর্বাধিক দুর্ধর্ষ জাতি যাদের নাম শোনামাত্র সকলের অন্তর একেবারেই কেপে উঠত। আর সেই পরাশক্তি হিসেবে খ্যাত উসমানীয়রা এতটাই দূর্বল হতে থাকে যে, তারা নিজেদের দেশের অভ্যন্তরের বিদ্রোহ ঠেকাতে একেবারেই দূর্বল হয়ে পড়ে। আর এতে করে উসমানীয়দের শক্তি বৃদ্বি করার জন্য আর এই পৃথিবীতে তাদের দাপট পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আবার ক্ষমতাধর হওয়ার জন্য জার্মান পক্ষের অবলম্বণ করার ব্যাপারে বেশী আগ্রহী ছিল। তাই তারা অক্ষ পক্ষে যোগদান করেছিল।
৬. বলকান রক্ষা
বলকান রাষ্ট্র হতে পর্যায়ক্রমে রুমানিয়া,বুলগেরিয়া,সার্বিয়া,আলবেনিয়া,মেসিডোনিয়া,বসনিয়া,ক্রোয়েশিয়া এভাবে করে অসংখ্য রাষ্ট্রের জন্ম হতে থাকে। আর প্রত্যেকের মধ্যে নতুনভাবে জাতীয়তাবাদ মনোভাবের বিকাশ ঘটতে থাকে আর এতে করেই উসমানীয় সম্রাজ্যে নতুন করে ফাটল দেখা দেয় আর এতে করে উসমানীয়রা চিন্তা করল যে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার খাতিরে অক্ষ পক্ষের পক্ষে যোগদান ছাড়া আর অন্য কোন উপায় থাকতে পারে না। আর বলকান রাজ্যের অধিবাসীরাই অস্ট্রিয়ার প্রিন্সকে হত্যা করেছিল তাই অস্ট্রিয়া যখন বলকানদের উপর হামলা চালালো তখন তুরস্ক তাদের হারনো পূর্বের অসংখ্য স্থানকে ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে বলকানবাসীর বিপক্ষে যুদ্ব ঘোষণা করে।
৭. রাশিয়াকে প্রতিহত
রাশিয়ার সাথে তুরস্কের সেই ক্রিমিয়ার যুদ্বের সময় হতেই সীমান্ত সমস্যা চলে আসছিল। সীমান্তে প্রায় সময়ে রাশিয়ার সাথে তুরস্ক বাহিনীর সমস্যা লেগেই থাকত। এর পাশাপাশি ককেশাশের সীমান্তে তারপর কাস্পিয়ান ও কৃষ্ণ সাগরের জাহাজের অবস্থানকে কেন্দ্রে করে সর্বদা এদের মধ্যকার দ্বন্দ্ব লেগেই থাকত। আর রাশিয়াকে প্রতিহত করা দরকার ছিল বলে তখন জার্মানির পক্ষে তুরস্ক অবস্থান গ্রহণ করেছিল।
৮. সেনাবাহিনীকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দান
উসমানীয় সেনাবাহিনী আগের মত সেই গাজী এবং জেনেরিস বাহিনীর মত এতটা শক্তিশালী ছিল না আর। একদিকে ইউরোপে রেনেসাঁ বিপ্লবের কারণে ইউরোপিয়ানরা আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহার শুরু করে। তারা সকল দিক হতে উন্নত হতে থাকে। বিমানের ব্যবহার কেবল তখন তারা মাত্র শুরু করে। আর অন্যদিকে স্থল ও জলপথে আগে থেকেই তারা ছিল অত্যন্ত উন্নত। কিন্তু সেইদিক হতে তুরস্ক সকল দিক হতে একবারেই পশ্চাতগামীতার মধ্যে ছিল। তাই তারা জার্মানির সাথে সঙ্ঘবদ্বভাবে নতুন করে নিজেদেরকে শক্তিশালী করার ব্যাপারে সিদ্বান্ত গ্রহণ করে।
৯. বিদেশী চাপ হতে মুক্তি
উসমানীয় খিলাফতের কাঠামো যখন দূর্বল হতে চলছিল তখন থেকেই তাদের উপর তাদের পূর্বের স্থানসমূহকে দখল করে রাখা দেশ তথা ফ্রান্স, ইংল্যাণ্ড, রাশিয়া তাদের উপর বিভিন্নভাবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চাপ প্রদান করত আর এতে করত আবার তার পাশাপাশি সামরিক হুমকির মাধ্যমে যেকোন দাবী আদায় করত এবং লাগামহীনভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে থাকে। এমতাবস্থায় তুরস্ক সরকার জার্মানির সাথে সংঘবদ্ব হয়ে তাদর বিরুদ্বে যুদ্ব করার ব্যাপারে পরিকল্পণা গ্রহণ করে।
১০. উপসাগরীয় অঞ্চলকে ব্রিটিশমুক্ত রাখা
উসমানীয় শাসনামলে উপসাগরীয় অঞ্চলসমূহ অর্থাৎ বাহরাইন, ওমান, আরব আমিরাতের অধিকাংশ জায়গা ব্রিটিশ আশ্রিত অংশ হিসেবে পরিগণিত হত আর এমনিভাবে উসমানীয় খিলাফতের অংশের সাথে ব্রিটিশের ঘাটিকে উসমানীয়রা সুনজরে দেখতে পারে নাই। যার ফলে তুরস্ক ব্রিটেনের বিরুদ্বে যুদ্ব্বে অবতীর্ণ হন।
ফলাফল
প্রথম বিশ্বযুদ্ব ১৯১৮ সালে সমাপ্ত হয়। এই যুদ্বে মিত্রপক্ষ যুদ্বে জয় লাভ করে। আর অক্ষপক্ষ শোচনীয়ভাবে পরাজয় বরণ করেছিল। আর এর দ্বারা তুরস্ক বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে। তুরস্কের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর এমনিভাবে উসমানীয়দের শাসন ব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করে দিয়েছিল এই প্রথম যুদ্বের ফলাফল হিসেবে। এই যুদ্বের ফলাফল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলঃ
১. অসংখ্য সৈন্যের হতাহত
এই যুদ্বে তুরস্ক বাহিনী অংশগ্রহণ করার জন্য বহু সৈন্য মারা যান। আর এতে করে তুরক্সের সামরিক কাঠামো একেবারেই নড়বড়ে হয়ে যায়।
২. অর্থনৈতিক অস্থিরতা
তুরস্কের এই যদ্বে পরাজায়ের মাধ্যমে সামরিক ক্ষতির সম্মুখীন পাশাপাশি অর্থনৈতিক এক বিপর্যয়ের মধ্যে তারা প্রবেশ করেত থাকে। দিন দি ন বেকারত্বের হার বাড়তে থাকে আর বিদেশীদের হাতে সকল মূল মূল ব্যবসা বাণিজ্য তাদের হাতে চলে যায়।
৩. আরব জাতীয়বাদের বিকাশ
যখন উসমানীয়রা সমগ্র মিত্র শক্তির বিরুদ্বে প্রাণ পণ চেষ্টার মাধ্যমে যুদ্বে জয় লাভ করার জন্য চেষ্টা করছিল তখন উসমানীয় সম্রজ্যের অধীনে অবস্থিত আরব দেশসমূহে নতুন করে আরব জাতীয়তাবাদকে নিজেদের স্বকীয়তার জন্য আরব বলে পরিচয় দিতে প্রকশ করতে থকে আর এর ধারাবাহিকতায় সৌদি আরব, কুয়েত, ইউ এ ই, ইয়ামান, ওমান, মিসরও, জদার্নসহ আরও নানা দেশের মধ্যে ইহা ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
৪. তুরস্ক জাতীয়তাবাদের সাফল্য
এই যুদ্বে উসমানীয়দের পতনের জন্য তুরস্কের জাতীয়তাবাদের বিশ্বাসী লোকেরা বিশেষভাবে সুগোগ সুবিধা লাভ করেত থাকে। তারা সর্বদা বিষয়টি আশা করত যে, যেকোনভাবে উসমানীয়দের যাতে করে পতন ঘটে আর নতুন করে তারা দেশকে গড়বে। আর স্বপ্নে তাই বাস্তবায়ন হয় আর তুরস্কের জাতীয়তাবোধে বিশ্বাসী যুবক অনেক গর্বের সাথে ছবি উঠালেন।
৫. ইরাক সিরিয়া শত্রুপক্ষের হাতে চলে যাওয়া
যখন ১ম বিশ্ব যুদ্ব শুরু হয় তখন হতেই অত্যন্ত সুকৌশলে ব্রিটেনের লোভ ছিল ইরাক ও সিরিয়ার প্রতি। তারা অত্যন্ত সুকৌশলে কয়েকবার কয়েকটি অভিযান প্রেরণ করে তাদের কর্তৃত্ব স্থাপনে তারা সফল হয় আর পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম এভাবে করে অপমানজনক উপায়ে মুসলিমগণ নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ স্থান হারাতে বসে।
৬. জেরুজালেমের কর্তৃত্ব হারানো
প্রায় হাজার বছর ধরে ক্রুসেড যুদ্ব সংঘটিত হতে থাকে। আর খৃষ্টানরা কোনভাবেই যুদ্বের পূর্বে কখনো এতটা সাফল্যের সাথে জেরুজালেম জয় করতে পারে নাই। যেদিন তারা জেরুজালেম জয় করে সেদিন সেই সেনা অফিসার এই কথা বলেছিল যে, আজ জেরুজালেম জয়ের মধ্য দিয়ে ক্রুসেডের অবসান ঘটল।
৭. ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা
যখন হতে সিরিয়া দখল করল তখন হতে ইয়াহূদীরা নতুন করে একটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখা শুরু করে যা তাদের তীর্থ স্থান নামে পরিচিত। যদিও তাদের পৃথক রাষ্ট্র গঠন করার স্বপ্ন ছিল অনেক পুরাতন। এরপরেও যখন জেরুজালেম ব্রিটিশ অধিগ্রহণ করেন তখন থেকে ইয়াহূদীরা নতুন রাষ্ট্রের কথা চিন্তা ভাবনা শুরু করে এবং সেখানে তারা অনেকেই আরবদের কাছে থেকে চড়া দামে জমি ক্রয় করে জীবন যাপন শুরু করে। ১৯১৯ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বেলফোরের নতুন ঘোষণার মাধ্যমে ইসরাইল রাষ্ট্রের স্বীকৃত পাওয়া যায়।
৮. অহরহ আরব রাষ্ট্রের জন্ম
যেহেতু উসমানীয়গণ যুদ্বে পরাজয় করতে থাকে আর ব্রিটিশরা আগে থেকেই আরবদেশে বিভিন্ন লোকদের মাঝে তুরস্ক বিরোধী মনোভাবে তুলে ধরতে থাকে। লরেন্স অব আরাবিয়া এই ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। আর এমনি ভাবে আরবের পূর্বের সেই গোত্রভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা পুনরায় ফিরে আসে। আর এমনিভাবে সৌদি আরব, কুয়েত, ইরাক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, বাহরাইন, ইয়ামান, জদার্ন, সিরিয়া অসংখ্য নেতার মাধ্যমে বিভাজন সৃষ্টি হয় পারস্পারিক সম্পর্কের দিক দিয়ে।
৯. উসমানীয়দের পতন
এই যদ্বু এ উসমানীয়রা জার্মান পক্ষ নেওয়ার ফলে তাদের পতন অনীবার্য হয়ে পড়ে। তাই প্রথম বিশ্বযুদ্ব শেষ হওয়ার ৭-৮ বছরের মধ্যেই সমগ্র উসমানীয়দের ছয়শ বছরের ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটেছিল।
১০. গণতন্ত্র ও কামাল আতাতুর্কের উত্থান
আর যুদ্বের পরিপ্রেক্ষিতে যেহেতু সকলের মধ্যে উসমানীয়দের ব্যাপারে একটি নেতিবাচক মনোভাব কাজ করছিল তাই তখন হতেই কামাল আতাতুর্ক এই দেশকে পশ্চিমাদের সাজানো পরিকল্পনা অনুযায়ী সকলের মাঝে আধুনিক গণতন্ত্র চালু করে যান যদিও এর সুফল তিনি নিজে খুব বেশী দিন ভোগ করতে পারেন নাই।

6 comments:

  1. ধন্যবাদ, আরও পোষ্ট চাই।

    ReplyDelete
    Replies
    1. আমাদেরে পুরো ব্লগটা ঘুরে দেখুন। আশাকরি ভালো লাগবে।

      Delete
  2. Replies
    1. Thanks to u too.
      visit all pages if u spent very good time.
      have to speech

      Delete
  3. খুব ভালো লেগেছে।

    ReplyDelete
    Replies
    1. ধন্যবাদ।
      সাথেই থাকবেন

      Delete

৩৮ তম বিসিএস এর রেজাল্ট

৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে পিএসসি। বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক এ কথা নিশ্চিত করেন। ...